কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃঅবশেষে দীর্ঘ চার মাস পর কুড়িগ্রাম জেলার চিলমারী উপজেলায় বহুল আলোচিত মাহামুদা গণধর্ষনের পলাতক দুই আসমামীকে গ্রেফতার করেছে চিলমারী মডেল থানা পুলিশ। শুক্রবার রাতে তাদেরকে উপজেলার জোড়গাছ এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। ইতোপূর্বে বাদীর এজাহারে উল্লেখিত এবং গ্রেফতারকৃত পূর্বের দুই আসামী মিলে মোট ৪ জন আসামীকে গ্রেফতার করা হলো এই চাঞ্চল্যকর মামলাটিতে।
মামলাটির তদন্তকারী অফিসার সরকার ইফতেখারুল মোকাদ্দেম, এ প্রতিনিধিকে জানিয়েছেন, গত ২৪/০৪/২০১৯ ইং তারিখে গণধর্ষনের শিকার টাঙ্গাইল জেলার কাকুয়া গ্রামের মোঃ রেজাউল করিমের স্ত্রী মাহামুদা বেগম (২৯) গত ২৫/০৪/২০১৯ ইং তারিখে চিলমারী মডেল থানায় একটি গণধর্ষনের মামলা দায়ের করেন।মামলার এজাহারে বাদী উল্লেখ করেন যে, তার ভাগ্নী মোছাঃ রেজিয়া বেগম (২৫) দিনাজপুরের হারুণ মিঞা (৩২) এর সাথে পরকীয়া প্রেমের টানে নিজ বাড়ী টাঙ্গাইল থেকে পালিয়ে গেছে। মাহামুদা ২ জন নিকট আত্মীয়কে সংগে নিয়ে ভাগ্নীকে খুঁজতে বেড়িয়ে পরেন। এ সময় তিনি পলাতক হারুন মিঞার মামা কুড়িগ্রামের চিলমারীস্থ চিলমারী ইউনিয়নের কড়াইবরিশাল গ্রামের মোঃ রঞ্জু মিয়ার ( ৫২) সাথে মোবাইলে পরিচিত হন। রঞ্জু মিয়া মাহামুদাকে ভাগ্নী খুঁজে দেবেন প্রতিশ্রুতি দিয়ে, তাকে চিলমারীতে ডাকেন। পূর্ব কথার সূত্র ধরে, মাহামুদা রঞ্জুর বাড়ীতে আসেন। এরপর কৌশলে রঞ্জু মিয়া মাহামুদার সাথে আসা আত্মীয়দেরকে তার বাড়ীতে রেখে,শুধু মাহামুদাকে সঙ্গে করে, রাত প্রায় ৯ টার সময় ভাগ্নীকে খোঁজার উদ্দেশ্যে বেড়িয়ে আসেন।এরপর মাহামুদাকে একটি নৌকায় তুলে কড়াইবরিশাল ঘাটের ১ কিলোমিটার উত্তর পূর্ব দিকে , একটি ইউক্লিপটাস বাগাণে নিয়ে গিয়ে, নৌকার মাঝিসহ গ্রেফতারকৃত ৪ জন পালাক্রমে গণধর্ষন করে। মামলা দায়েরের পর পরই রঞ্জু ও জেলহক কে গ্রেফতার করা হয়েছিল।
গ্রেফতারকৃতদের স্বীকারোক্তি থেকে এই দুই আসামীর সংশ্লিষ্টতার কথা জানা যায়। শুক্রবার রাতে তাদেরকেও গ্রেফাতার করা হয়। তাড়া দু’জনই এতোদিন পালিয়ে বেড়াচ্ছিল।
চিলমারী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আমিনুল ইসলাম বলেন,গণধর্ষণকারী আনছার আলী ও আব্দুর রশিদকে গ্রেফতার করা হয়েছে।শনিবার সকালে আাসামীদেরকে আদালতের মাধ্যমে কুড়িগ্রাম জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।