মিজানুর রহমান মিজান, স্টাফ রিপোর্টার: কুড়িগ্রামের চিলমারীতে ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে কৃষি জমি কেটে অবাধে চলছে রমরমা মাটির ব্যবসা।উপজেলার রাজারভিটা এলাকার প্রভাবশালীরা কাউকে তোয়াক্কা না করে নদের তীর থেকে অবৈধভাবে এসব মাটি কেটে বিক্রি করছে। ফলে নদীতে পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে ওই সব এলাকা নদীতে পরিনত হয়ে যাবে বলে এলাকাবাসীর দাবী। এতে হুমকীর মুখে রয়েছে শতকোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ব্রহ্মপুত্র নদের ডানতীর রক্ষা প্রকল্প,রাজারভিটা ফাজিল মাদ্রাসাসহ তিনটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান,বিভিন্ন স্থাপনা ও নদী তীরবর্তি জনপদ এবং আবাদী জমি। প্রতিকার না পেয়ে হতাশ হয়ে পড়েছে রাজারভিটা গ্রামের মানুষ।
শুক্রবার সরেজমিন দেখা গেছে,উপজেলার রাজারভিটা এলাকায় পাউবো বাধের ভিতরে ব্রহ্মপুত্র নদের ডানতীর রক্ষা প্রকল্পের সামনে বিভিন্ন জায়গায় নদীর তীর কেটে সারিবদ্ধ ট্রলিতে মাটি নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। ছবি তুলতে গেলে ট্রাকটর(ট্রলি) নিয়ে পালিয়ে যায় অনেকে। এভাবে মাটি কাটা অব্যাহত থাকায় নদীর তীর সংলগ্ন এলাকা সমুহ নদীর পানির সমান হয়ে যাচ্ছে। এতে সামান্য পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে এসব জমি নদীর সাথে মিশে গোটা এলাকা নদীতে পরিনত হবে মর্মে এলাকাবাসীর অভিযোগ। এসময় নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকে জানান, বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে মিঠু মিয়া,ফিরোজ মিয়া, বিদ্যুৎ মিয়া,আশাদুর রহমান,সোহেল,ইমরান,ডালিম ও আতা মিয়া তাদের ভটভটি(ট্রলি) দিয়ে মাটি কেটে অবাধে বিক্রি করছে।
ট্রলিতে মাটি কাটার ছবি উঠাতে দেখে সেকেন্দার আলী,সাইদুল ইসলাম,মোর্শেদা বেগমসহ বেশ কয়েকজন এগিয়ে এসে বলেন,নদীর এই তীরটি আমাদের গ্রামের প্রোটেকশন হিসাবে কাজ করছে এছাড়াও চর পরে যাওয়া এই জমি গুলোতে আমরা বিভিন্ন রকম ফসল উৎপাদন করছিলাম।এভাবে তীর থেকে মাটি কেটে নিলে নদীর ভাঙ্গন তীব্র আকার ধারনসহ হুমকীর মুখে পড়বে শতকোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ব্রহ্মপুত্রের ডানতীর রক্ষা প্রকল্প,বিভিন্ন স্থাপনাসহ নদী তীরবর্তি জনপদ ও সরকার ঘোষিত নৌ-বন্দর পুনঃস্থাপনের পরিকল্পনা। এছাড়াও গ্রামের ভিতর দিয়ে সারাদিন গাড়ী চলায় রাস্তা ভেঙ্গে যাওয়াসহ ঘটছে বিভিন্ন রকমের দুর্ঘটনা। এলাকাবাসী মাটি কাটা প্রতিরোধ কল্পে বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন করেও প্রতিকার না পেয়ে হতাশ হয়ে পড়েছে রাজারভিটা গ্রামের মানুষ।
এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো.মিনহাজুল ইসলাম জানান,বিষয়টি আমার জানা ছিল না খোজ নিয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।