রবিবার, ১০ই ডিসেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ

ADVERTISEMENT

চিলমারীতে ধর্মান্তরিত নারীর বিয়ের ১৭ দিন পর লাশ উদ্ধার

মিজানুর রহমান মিজান, চিলমারী(কুড়িগ্রাম)প্রতিনিধি: কুড়িগ্রামের চিলমারীতে বিয়ের ১৭ দিন পর এক নববধুর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। চিলমারী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো. হারেছুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। নিহত ওই গৃহবধুর নাম আমেনা বেগম (২৫)। তিনি রমনা মডেল ইউনিয়নের জোড়গাছ নতুন বাজার এলাকার শ্রী জ্ঞান চাঁন এর মেয়ে। আমেনা বেগম ২০১৫ সালে ধর্মান্তরিত হয়ে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। এর আগে তার নাম ছিল শ্রী আদুরী রানী। এর পর থেকে পারিবারিক ভাবে যোগাযোগ তেমন ছিলো না আমেনার।

জানা গেছে, ধর্মান্তরিত হওয়ার পর আমেনা বেগম লালমনিরহাট জেলার এক রেলওয়ে টিকেট চেকারকে বিয়ে করেন। বিয়ের প্রায় ২বছর পর স্বামী মারা গেলে আমেনা উপজেলার রমনা ইউনিয়নের জোড়গাছ পুরাতন বাজার সংলগ্ন মাঝি পাড়া এলাকায় বেশ কিছুদিন মানুষের বাড়িতে আশ্রয় নেন। আশ্রয়হীন দেখে আমেনাকে তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মাহবুবুর রহমান তাকে মাঝিপাড়া এলাকায় সরকারী খাস জমিতে একটি চালা ঘড় ও নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন দানশীল ব্যক্তি তাকে দোচালা একটি বাংলা ঘর করে দেন। তখন থেকে আমেনা তার নিজ ঘরে দিনাতিপাত করে আসছে। একবছর আগে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের উদ্যোগ একটি চায়ের দোকান করে দিলে আমেনা দোকান করে সংসার চালান। এরপর সর্বশেষ ১৭ দিন আগে উলিপুর উপজেলার হাতিয়া ভবেশ এলাকার আফতাব উদ্দিনের ছেলে শাহাবুদ্দিন নামের এক ব্যক্তির সাথে বিয়ে করে আমেনা। বিয়ের পর দোকান বাদ দিয়ে বাড়িতেই থাকতেন আমেনা।

রমনা মডেল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান গোলাম আশেক আঁকা বলেন, দুপুরে স্থানীয় লোকজন আমাকে ফোন দিলে আমি ঘটনাস্থলে এসে তালাবদ্ধ অবস্থায় শয়ন কক্ষে জানালা দিয়ে বিছানায় আমেনার মরদেহ দেখতে পেয়ে থানা পুলিশকে খবর দেই। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে দরজার তালা ভেঙ্গে ভিতরে প্রবেশ করে তার লাশ উদ্ধার করে।
এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (উলিপুর সার্কেল) মোহাম্মদ মহিবুল ইসলাম জানান, খবর পাওয়া মাত্র আমরা ঘটনাস্থলে এসেছি। প্রাথমিকভাবে সুরতহাল সম্পুর্ণ করেছি। তবে ধারনা করা হচ্ছে আমেনা বেগমকে হত্যা করা হয়েছে। ময়না তদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পর ঘটনার আসল রহস্য জানা যাবে। তবে এ ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করে দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে।

সম্পর্কিত