নিউজ ডেস্ক:বিচার চাইতে আসা এক গৃহবধুকে শারিরীক নির্যাতন করছে ইউপি চেয়ারম্যান। নির্যাতনের শিকার ঔ গৃহবধু থানায় মামলা করতে ব্যর্থ হয়ে জেলা প্রশাসক সহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগ পত্র থেকে জানা যায় কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলায় ১ নং রানিগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মঞ্জু মিয়া বিচার প্রার্থী মমতাজ বেগমকে শারিরীক নির্যাতন করে। মমতাজ বেগমের সহিত প্রতিবেশি তৈয়ব আলির সাথে বসতবাড়ি নিয়ে মামলা মোকদ্দমা হওয়ায় বিজ্ঞ বিচারক বিচারের জন্য গ্রাম আদালতে পাঠান। মামলা বিষয় কথা বলতে গেলে চেয়ারম্যান ক্ষিপ্ত হয়ে জনসম্মুখে ঔ নারীর উপর অমানুষিক নির্যাতন চালায় বলে অভিযোগ থেকে জানা যায়। অভিযোগে উল্লেখ করা হয় নির্যাতনের শিকার ঔ নারী ঘটনা স্থানেই অসুস্থ হয়ে পড়লে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নেয়ার সময় থানা সামনে থাকায় পুলিশকে জানানোর জন্য গেলে থানার ভিতরেই গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে। পুলিশ আশরাফুল ও মহিলা পুলিশের সহযোগিতায় হাসপাতালে নেয়া হয়। ১৮ /০২ /২০২৪ হতে ২২/০২/২০২৪ ইং তারিখ পর্যন্ত চিকিৎসা গ্রহন করেন। থানায় মামলা করতে গেলে ওসি মামলা না নিয়ে আদালতে যাবার পরামর্শ দেন বলে অভিযোগ করেন ঔ নারী। স্থানীয় ভাবে খোঁজ-খবর নিয়ে জানা যায়, মামলাটি গ্রাম আদালতে আসার আগেই ০৬/০২/২০২৪ তারিখে চেয়ারম্যান সহ গণমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে মিমাংসার জন্য থানায় বৈঠকে বসে সিদ্ধান্ত মতে নালিশি জমি ক্রয়ের জন্য মমতাজ বেগমের কাছ থেকে ১ লক্ষ টাকা নেয়া হয়। চেয়ারম্যানের নিকট মামলা ও টাকার বিষয় জানতে গেলে ক্ষিপ্ত হয়ে তার উপর আক্রমন করে বসে। ভুক্তভোগী মমতাজ বেগম জানান চেয়ারম্যান আমার কোন কথার সুযোগ না দিয়ে সকলের সামনে আমাকে গালিগালাজ পারতে পারতে আমার উপর অতর্কিত আক্রমন করে বসে। আমি বুঝতেই পারিনি এমন ঘটনা ঘটবে। অভিযুক্ত চেয়ারম্যান মঞ্জু মিয়ার সাথে কথা হলে তিনি জানান সেদিন এমন কোন ঘটনাই ঘটেনি। চিলমারী থানার অফিসার ইনচার্জ জানান ঔ নারী থানার এসে অসুস্থ হয়ে পড়ে আমরা তাকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতাল পাঠিয়ে দিয়েছি।পরবর্তীতে আমাদের সাথে আর কোন যোগাযোগ করেনি।