জুন ১০, ২০২৩ ১২:৩৬ সকাল



চটের বস্তা গায়ে দেওয়া ছবি ফেসবুকে ভাইরাল হওয়ার পর নছিমনের পাশে দাঁড়ালো ভুঁইয়া মানবিক ফাউন্ডেশন

উত্তরবঙ্গের সংবাদ ডেস্ক: গত ৭ ডিসেম্বর ভাইরাল হওয়া খবর ছিল ৩ বেলা নিয়মিত খেতে পারেন না কুড়িগ্রামের প্রায় ৩০ শতাংশ পরিবারের মানুষ। আর সার্বক্ষণিক খাদ্য ঘাটতি মোকাবেলা করতে হচ্ছে ৯ শতাংশকে। সম্প্রতি বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান (বিআইডিএস) শীর্ষ দারিদ্র্যপ্রবণ জেলাটি নিয়ে পরিচালিত এক গবেষণায় এমন তথ্য উঠে আসে।

আপনাদের মনে পরে সেই চুয়াত্তরের দুর্ভিক্ষে রোগা লিকলিকে শরীরে একটি জাল জড়িয়ে সম্ভ্রম ঢেকে সারাবিশ্বে আলোচনায় এসেছিলেন বাসন্তি। সেই জন্মগত বাকপ্রতিবন্ধী বাসন্তির কথা।?।৭৪ সালের পর কেটে গেল অনেক সময় তার পর ২০১৯ সালে এসে ভাইরাল হয়ে গেল করিমন বেওয়া।
গত ২৭ তারিখ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ফাইরাল হয় নছমিন নামের এক বৃদ্ধা মায়ের ছবি।যেখানে ছবিতে দেখা যায় সেই মাকে যিনি এক গোয়ালঘরে খর কুটার স্তুপে শুয়ে আছেন এবং তার শরীরের উপরে শীত নিবারনের জন্য দেওয়া হয়েছে পাটের চট(বস্তা)।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হওয়ার পর ফেসবুক জুড়ে নানা ঝর উঠে,কেউ চেয়ারম্যানের অবহেলা,কেউ কেউ সেখানের জনপ্রতিনিধি থেকে শুরু করে সরকারের উন্নয়ন নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন।কেউ কেউ আবার সরকারের সুনাম নষ্ট করার জন্য এইটা চক্রান্ত হিসাবেও উপস্থাপন করেছেন।
আজ সরজমিন প্রতিবেদনে গিয়ে দেখা যায়, আমাদের আগেই সেখানে উপস্থিত হয়েছেন, ভূঁইয়া মানবিক ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম তাজ ও তার স্বেচ্ছাসেবক দল। তারা ভূঁইয়া মানুবিক ফাউন্ডেশন থেকে নছিমনের জন্য একটি প্যাচ কম্বল,একটি তোশক, একটি বিছানার চাদর ও দুইটি বালিশ নিয়ে গিয়েছেন।এবং উলিপুর থেকে এসেছেন সাংবাদিক আবু জাফর রানা যিনি একটি শাড়ি কাপড় নিয়ে এসেছেন,স্থানীয় বন্ধন সংগঠনের স্বেচ্ছাসেবক এবং আওয়ামিলীগ এ-র নেতা একটি চৌকিখাট কিনে দিতে চেয়েছেন।
২০১৯ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে দেশ যখন উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাচ্ছে তখন কিভাবে এ-ই চিত্র দেশবাসীর সামনে আসলো, এ-ই পরিবার ও বৃদ্ধাকে কোন সহোযোগিতা করা হয়েছে কি না,জানতে চাইলে স্থানীয় ছিনাই ইউনিয়নের মেম্বার মোশারফ হোসেন জানায়,ইউনিয়ন পরিষদ থেকে এ-ই বৃদ্ধা নছিমনের নামে বয়স্ক ভাতার কার্ড করে দেওয়া হয়েছে, এছাড়াও তার ছেলে গরীব তাই ভিজিডি কার্ড এ-র চাউল দেওয়া হয় তার পরিবারকে। স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে কোন ধরনের বৈষম্য বা সুবিধাবঞ্চিত করা হয় নাই ফেসবুকে যা প্রচার হয়েছে সেটাও সত্যি কিন্তু সেইটার জন্য নছিমনের ছেলে ও ছেলে বউ এ-র অবহেলা এবং সংসারের অসচ্ছলতা মূল কারণ বলে তিনি মনে করেন।

ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া সেই ছবি

ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া নছিমনের ছবি

ভূঁইয়া মানবিক ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম বলেন, গতকাল এরকম একটি ছবি ফেসবুকে দেখার পর থেকে মনে হচ্ছিলো যে তার পাশে দাঁড়ানো দরকার।গতকাল মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব কে বিষয়টি অবহিত করার পর উনি ২ টি কম্বল পাঠিয়েছিলেন নছিমনের জন্য তার পর আজ আমাদের পারিবারিক প্রতিষ্ঠান ভূঁইয়া মানবিক ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে এসেছি।এখন তার শীতের পোষাক ও কম্বলের অভাব দূর হয়েছে কিন্তু থাকবার জন্য একটি ঘর খুবেই দরকার।কারণ নছিমন কে একটি গরুর ঘরের সাথে লাগানো একটি ছাপড়া ঘরে থাকতে দেওয়া হয়েছে।সেই ঘরের বেড়া এমন পাতলা যে বাতাশ ও শীত প্রবেশ করে অনায়াসে।

তিনি বৃদ্ধার জন্য সমাজের সচেতন জনগণ ও বিত্তবানদের নছিমনের পাশে দাঁড়িয়ে তার জন্য একটি ঘরের ব্যবস্থা করবার আহবান জানান।



Comments are closed.

      আরও নিউজ