শুকনো পাতা, খড়ের গাদা, কাঠ জ্বালানী পুড়ে
রান্না করেন সন্ধ্যা-সকাল,খাঁ খাঁ রোদ-দুপুরে।
রান্না ছাড়াও বাসন মাজা,লুঙ্গি ধোঁয়া বাবার
উঠান ঝেঁড়ে সঠিক সময় দিতে হবে খাবার।
প্যাঁক-পেঁকিয়ে হাঁসগুলো রোজ গায় প্রভাতী গান
দেখতে ভোর গরুগুলোর মন করে আনচান।
হাঁসের খাবার দিয়ে মা যায় গোয়ালঘরে ছুটে
তুলতে হবে গোবর ডালায় দিতে হবে ঘুঁটে।
মায়ের হাতে ভাত না খেলে থাকে যে গাল ফুলে
কাজ ফেলে মা খাইয়ে বলেন,এবার যা স্কুলে।
তপ্ত রোদে রান্না বসান শাকপাতা ডাল দিয়ে
নইলে বাবা খাবেন কি মাঠ থেকে বাড়ি ফিরে গিয়ে!
করতে গিয়ে গোসল মা কাঁচেন কাপড় শত
পা কেটেছি,আঁচল ছিঁড়ে মা মুছে দেন ক্ষত।
বিকেল হলো মায়ের পেটে নাই তিল পরিমাণ দানা
আমায় গোসল করিয়ে মুখে তোলেন খানা।
সন্ধ্যাবেলায় হাঁস ফিরেছে, গরু তোলেন ঘরে
কাজ জমিয়ে রাতের রান্না করেন পরে।
রান্না শেষে খেতে দেন মা সবাইকে রাতে
নিজেরটুকু অল্প খেয়ে তুলে দেন আমার পাতে।
ঘুমের সময় শিল্পী হয়ে মা শোনান আমায় গান
গল্প-গানে চোখ জুড়ে আসে ঘুমের টান।
ঘুম তাড়িয়ে সকালে দেখি মায়ের একই কাজ
ইচ্ছে করে মায়ের মাথায় পড়াই হীরের তাজ।