মাহমুদ হাসান মাসুদ গোপালগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি
গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে ৪র্থ শ্রেণী পড়ুয়া ১০ বছর বয়সী এক মাদ্রাসা শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগে শিক্ষক মোঃ হেলাল উদ্দিন আল আজাদ ওরফে হেলাল খাঁ (৩০)কে গ্রেপ্তার করেছে কাশিয়ানী থানা পুলিশ।
সোমবার দুপুরে শিক্ষক মোঃ হেলাল উদ্দিন আল আজাদ ওরফে হেলাল খাঁ’কে গ্রেপ্তার করে, ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর মায়ের দায়ের করা মামলার ভিত্তিতে।
গ্রেপ্তারকৃত শিক্ষক মোঃ হেলাল উদ্দিন আল আজাদ ওরফে হেলাল খাঁ ফরিদপুর জেলার বোয়ালমারী থানার মাইটমুকড়া গ্রামের মোঃ তুরাপ আলী খাঁর ছেলে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানী থানাধীন বাগঝাপা গ্রামে বসবাস করছেন। সেখানে মো: হেলাল উদ্দিনসহ আরও কয়েকজন মিলে বেশ কিছুদিন যাবৎ হযরত হালিমাতুজ ছাদিয়া মুহাম্মাদীয়া মহিলা মাদ্রসায় নামে একটা অনুমোদনহীন আবাসিক/অনাবাসিক মহিলা মাদ্রাসা পরিচালনা করছেন ।
উক্ত মাদ্রাসার ১০ বছর বয়সী চতুর্থ শ্রেণির (১ম জামাতের) শিক্ষার্থীর সঙ্গে মাদ্রাসা শিক্ষক মোঃ হেলাল উদ্দিন এই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটায়।
কাশিয়ানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিল্লুর রহমান জানান , উপজেলাধীন বাগঝাপা এলাকায় হযরত হালিমাতুজ ছাদিয়া মুহাম্মাদীয়া মহিলা মাদ্রসায় মোঃ হেলাল উদ্দিন আল আজাদ ওরফে হেলাল খাঁ নামের এক শিক্ষকসহ ধর্ষণের সহায়ক মোঃ ফায়েকুজ্জামান ( অত্র মাদ্রাসার মুহ্তামিম) ও মোসাঃ খাদিজা বেগমের বিরুদ্ধে ১০ বছর বয়সী চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের মামলা হয়েছে। মামলার ভিত্তিতে অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অপর দু’জন পলাতক রয়েছেন।
অভিযোগসূত্রে জানা যায় , হযরত হালিমাতুজ ছাদিয়া মুহাম্মাদীয়া মহিলা মাদ্রসার শিক্ষক হেলালউদ্দিন আল আজাদ ওরফে হেলাল তার বিশ্রাম কক্ষে ওই ছাত্রীকে বিয়েসহ বিভিন্ন প্রলভন দেখিয়ে বেশ কয়েকবার এই শিক্ষক ধর্ষণ করেছে। সর্বশেষ গত ১০ই ফেব্রুয়ারি বেলা ১২ঃ৩০টার দিকে ফায়েকুজ্জামান ও মোসাঃ খাদিজা বেগম দ্বয়ের সহায়তায় এই শিশুটিকে ধর্ষণ করা হয়। এই ঘটনায় গতকাল ভিকটিমের মা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলার ভিত্তিতে অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে এবং অপর দু’জন’কে দ্রুতই গ্রেফতার করা হবে।