কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি-
কুড়িগ্রাম এসপি মহিবুল ইসলাম খান বিপিএম করোনা ভাইরাস ইস্যুতে কুড়িগ্রাম জেলাবাসীর সচেতন ও দায়িত্বশীল ভূমিকা কামনা করেন। আতংকিত না হয়ে সতর্কতার সাথে নিয়মনীতি মেনে চলার আহবান জানান। শিক্ষার্থী তথা সন্তানদের বাড়ির ভিতর রাখা, বাহিরের মানুষদের সংস্পর্শে না আনা এবং বয়ো-বৃদ্ধদের বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বন করে সেবা করা। কাশি, সর্দি,জ্বর, গলাব্যাথা হলে নিকটস্থ সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া। করোনা ভাইরাস নিয়ে ইচ্ছাকৃত পন্যের মজুদ করে মানুষকে হয়রানি না করার কথাও উল্লেখ করেন।
জেলা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ৩ মার্চ থেকে ১২ মার্চ পর্যন্ত কোভিড-১৯ ভাইরাসে আক্রান্ত সৌদি আরব, ইতালি, চীন, সিঙ্গাপুর, ভারতসহ বিভিন্ন দেশ থেকে আসা এসব বাংলাদেশি নাগরিক কুড়িগ্রামের ১১টি থানায় নিজ এলাকায় অবস্থান করছেন।
কুড়িগ্রামে ফিরেছেন এমন প্রবাসীদের বিষয়ে খোজখবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে জেলার ১১ টি থানার পুলিশ সদস্য সহ গ্রাম পুলিশদের বিশেষ নির্দেশনা দিয়েছেন জেলা পুলিশ সুপার মহিবুল ইসলাম খান বিপিএম।
নীচে ইমিগ্রেশন সূত্রে প্রাপ্ত থানাভিত্তিক তালিকা দেয়া হলো –
কুড়িগ্রাম সদর থানায় ১০৭ জন
নাগেশ্বরীতে ৫৬ জন
কচাকাটায় ২১ জন
ভূরুঙ্গামারী ৫৫ জন
ফুলবাড়িতে ৬৬ জন
রাজারহাটে ৩৩ জন
উলিপুরে ৭৮ জন
চিলমারীতে ৩৫ জন
রৌমারীতে ৮২ জন
রাজিবপুরে ০৬ জন
ও ঢুষমারায় ০১ জন রয়েছেন।
এ বিষয়ে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মহিবুল ইসলাম খান বলেন, ইমিগ্রেশন সূত্রে বিদেশ ফেরতদের একটি তালিকা পাওয়া গেছে। পুলিশ বাড়ি বাড়ি গিয়ে সচেতন করাসহ বিদেশ ফেরতদের হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার জন্য বলছে। পুলিশের পাশাপাশি গ্রাম পুলিশ চৌকিদারদের কাজে লাগানো হয়েছে। ইউনিয়ন পর্যায়ে তারা সার্বক্ষণিক খোজখবর ও নজরদারিতে রাখবে এবং দরকার হলে থানা পুলিশের সহযোগিতা নিবে। হোম কোয়ারেন্টাইন না মানার অভিযোগ পেলে প্রচলিত আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে। কুড়িগ্রাম জেলাবাসী সহ সংশ্লিষ্ট সকলের দায়িত্বশীল ভূমিকা প্রত্যাশা করেন এবং পুলিশকে সহযোগিতা করার আহবান জানান তিনি।
বিদেশ ফেরত নাগরিকরা হোম কোয়ারেন্টাইনে না থেকে সর্বত্র বিচরণ করায় সাধারণ মানুষের মাঝে চাপা ক্ষোভ ও আতঙ্ক বিরাজ করছে।
আগামী ৩১ শে মার্চ পর্যন্ত দেশের সকল হোটেল বার, রেস্টুরেন্ট বার ও ক্লাব বার গুলো বন্ধ রাখার ঘোষনা দেয়া হয়েছে।