কুড়িগ্রামে নদী ভাঙন ও বন্যায় যাতে ক্ষতিগস্ত না হয়,সে লক্ষে কাজ চলছে-প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক
মোঃ জাহিদ,কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ
‘তিস্তা নদীকে শাসন করার জন্য যে সমস্ত প্রয়োজন আমাদের প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সাথে সে ব্যাপারে আলোচনা চলছে। তাদেরও পানি দরকার আমাদের পানি দরকার। আমরা দুই প্রতিবেশী রাষ্ট্র কিভাবে তিস্তার পানি ব্যবহার করতে পারি সে ব্যাপারে দুই দেশের টেকনিক্যাল পর্যায়ে কাজ করা হচ্ছে বলে জানান পানি সম্পদ মন্ত্রনালয়ের প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক।
এছাড়াও প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘ভবিষ্যতে আমরা দেখবো তিস্তা নদীর পানি সঠিকভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে। এই নদীর পানিতে দুই দেশের মানুষ উপকৃত হবে।’ সাংবাদিকদের অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আগামি দুই/তিন বছরের মধ্যে এ এলাকার ভাঙন ও বন্যা কমিয়ে আসবে। এলাকাবাসী যাতে প্লাবিত না হয়, ক্ষতিগস্ত না হয় সে লক্ষে কাজ চলছে।
পানি সম্পদ মন্ত্রনালয়ের প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক শুক্রবার সকাল ১০টায় কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার ভাঙন কবলিত ধরলা নদীতে কালোয়া বাঁধে সিসি ব্লক ও জিও ব্যাগের কার্যক্রম পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন।
এসময় মন্ত্রীর সাথে উপস্থিত ছিলেন কুড়িগ্রাম-২ আসনের সংসদ সদস্য পনির উদ্দিন আহমেদ, কুড়িগ্রাম-৩ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক এম এ মতিন, কুড়িগ্রাম জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও সাবেক এমপি মো: জাফর আলী, জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আমিনুল ইসলাম মঞ্জু মন্ডল, পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক মো: মাহফুজার রহমান, রংপুর উত্তর অঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী লক্ষ্মী প্রসাদ ঘোষ, রংপুরের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী হারুন অর রশীদ, কুড়িগ্রাম পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী মো: আরিফুল ইসলাম প্রমুখ।
প্রতিমন্ত্রী এরপর উলিপুর শহরে বুড়িতিস্তা নদী খনন কাজের অগ্রগতি, নাগড়াকুড়া টি বাঁধ এবং চিলমারীতে ব্রহ্মপূত্র তীর রক্ষা বাঁধের নতুন প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন করেন। এরপর তিনি স্পিডবোড যোগে চিলমারীর রমনা ও উলিপুরের হাতিয়া ইউনিয়নে ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন। দুপুরে প্রতিমন্ত্রী নৌপথে গাইবান্ধা জেলার উদ্দেশ্যে গমন করেন।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্র জানায়, জেলায় ৩০২ কোটি টাকার উন্নয়ন কার্যক্রম চলমান রয়েছে।