পুলিশ সুপার মহিবুল ইসলাম স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও কর্মীদের মধ্যে যারা আসতে পারেন নাই তাদের উদ্দেশ্যে বলেন -সময় স্বল্পতার কারনে যারা আসতে পারেন নাই তাদের সংগঠন ও ব্যক্তি পর্যায় থেকে সঠিক গাইডলাইন ও একক লিংকে সমন্বিত থেকে সেবামুলক কাজের যথেষ্ট আগ্রহ প্রকাশ করছেন এবং আমাদের তথ্যমতে আপনাদের অনেকের সমাজসেবা মুলক কাজের অভিজ্ঞতা রয়েছে, করোনা ইস্যুতে অনেক সংগঠন সচেতনতা সৃষ্টিতে কাজও করছে,যা ইতিবাচক। নিজ এলাকায় নিজেদের নিরাপত্তায় যথেষ্ট সতর্ক থেকে সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে কাজ করার পরামর্শ দেন। নিজেদের আচরন ও চলাফেরায় যেন শিক্ষনীয় বার্তা থাকে, তা দেখে অন্যরা যেন অনুকরনে আগ্রহী হয়। করোনা ভাইরাস আতংক নয়, ব্যক্তি থেকে ব্যক্তির নিরাপদ দুরত্ব বজায় রাখলেই প্রতিহত করা সম্ভব,এ বিষয়কেই গুরুত্ব দিয়ে কাজ করার আহবান জানান। তিনি মনে করেন আবেগপ্রবন মানুষ পরিবারে পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখলেও এখনও ব্যক্তি থেকে ব্যক্তির সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখতে প্রায়ই ছন্দের পতন ঘটানোর সম্ভাবনা ও ঝুকি প্রবনতা থাকছেই। আগামী এক/ দুই সপ্তাহে আমাদের সকলের মারাত্মক ঝুকি আসতে পারে এরকম আশংকা মাথায় রেখে নিজেদের শতভাগ নিরাপদ ও সাবধানতা অবলম্বন করতে বাড়ীতে অবস্থান করি।
জেলা পুলিশ প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, কুড়িগ্রাম জেলায় শহর পেরিয়ে প্রত্যন্ত অঞ্চলেও কম বেশী উদ্যমি যুবকদের মধ্যে স্বেচ্ছায় সামাজিক কাজ করার প্রবনতা লক্ষ্য করা যায়। অনাহুত কোন পরিস্থিতি সৃষ্টির আশংকা কে উড়িয়ে না দিয়ে তা মোকাবেলায় অগ্রীম প্রস্তুতির অংশ হিসেবে সুযোগ্য পুলিশ সুপার সুদুরপ্রসারি চিন্তা ভাবনার অধিকারী মোহাম্মদ মহিবুল ইসলাম খান বিপিএম জেলার স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলোর মাধ্যমে গোটা জেলার দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ সামাজিক কাজে অভ্যস্ত এমন যুবকদের একত্রিত করে সকল সচেতন কর্মক্ষম যুবকদের করোনা মোকাবেলায় কাজ করতে হবে সেরকম উদ্যোমি বার্তা পৌছালেন। স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও টিমের যারা মাঠে সেবামুলক কাজ করছেন ও এখন থেকে মাঠকর্মী হিসেবে কাজে আসবে তাদের কাজকে নিরাপদ ও স্বাস্থসম্মত করাতে জেলা পুলিশ প্রশাসন থেকে লজিস্টিক সাপোর্ট দেয়ার কথা জানা যায়।