নিউজ ডেস্ক:কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে প্রতিপক্ষের হামলায় মো. নান্নু (৪৫) নামে এক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। তিনি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকার পক্ষে নির্বাচন করেছেন। তবে ভোটে নৌকার প্রার্থী হেরে যান।
বুধবার (১৩ মার্চ) রাত ৮টার দিকে উপজেলার যদুবয়রা ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর চাঁদপুর গ্রামের ডাকুয়া নদীর পাড়ে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত আমিরুল কুমারখালী উপজেলার যদুবয়রা ইউনিয়নের উত্তর চাঁদপুর গ্রামের মৃত আবদুল জলিলের ছেলে। তিনি গ্রামের বাজারে মাছের আড়তদারি করতেন। মাছের ঘেরও আছে তার। এ ছাড়া তিনি স্থানীয় আওয়ামী লীগের একাংশের কর্মী ছিলেন। তিনি ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি তহিদ মাস্টারের পক্ষের কর্মী বলে জানা গেছে।
পুলিশ ও পরিবারের সূত্রে জানা গেছে, নান্নু ইফতার শেষ করে বাড়ি থেকে কেশবপুরে তার ইজারা নেওয়া দিঘিতে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে গতিরোধ করে জোরপূর্বক পাশের একটি কলাবাগানে নিয়ে পিটিয়ে ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে প্রতিপক্ষরা।
স্থানীয়রা জানান, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় থেকেই এলাকায় নৌকার প্রার্থী সেলিম আলতাফ জর্জ ও স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুর রউফ গ্রুপের মধ্যে বিরোধ চলে আসছে। নান্নু নৌকা প্রতীকে ভোট করেন। নির্বাচনে ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী বিজয়ী হন। নির্বাচনের পরেও দুপক্ষের মধ্যে বিরোধ চলে আসে।
এ বিষয়ে সাবেক এমপি সেলিম আলতাফ জর্জ জানান, নান্নু নৌকা প্রতীকের সমর্থক ছিলেন। নির্বাচনের পর থেকে তারা (বর্তমান এমপি) আমার সমর্থকদের ওপর অত্যাচার চালিয়ে আসছে।
এদিকে এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। অভিযুক্তদের বাড়িতে নিহতের পরিবারের লোকজন হামলা করে বাড়িঘর ভাঙচুর করেছে। পরে ঘটনাস্থলে পুলিশ ও ডিবি উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
কুমারখালী থানার ওসি আকিবুল ইসলাম বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি। আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এই হত্যাকাণ্ড ঘটে থাকতে পারে। নতুন করে সংঘর্ষ এড়াতে ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।