কুষ্টিয়া প্রতিনিধিঃকুষ্টিয়া প্রকাশ্যে দিনে দুপুরে হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ ব্যক্তির নিকট থেকে নগত ২০ হাজার টাকা’সহ মোটরসাইকেল ছিনতাইয়ের ঘটনায় ঘটেছে। এই বিষয়ে কুমারখালী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।
(২৮ ডিসেম্বর-২৩) বৃহস্পতিবার সকাল ৬.৪০ মি: সময় কুমারখালী উপজেলার চাপড়া ইউনিয়নের টোটোর মৎস্য খামারের সামনে থেকে ভাঁড়রা গ্রামের নির্মল ঘোষের ছেলে পরিতোষ ঘোষের নগদ ২০ হাজার টাকা’সহ তার ব্যবহত রানার রয়েল প্লাস ১১০ সিসি কালো রংয়ের একটি মোটরসাইকেল ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে।
মোটরসাইকেল মালিক পরিতোষ ঘোষ বলেন, বৃহস্পতিবার সকাল ৬.৩০ মি: সময় আমি বাড়ি থেকে আমার কর্মস্থল কুষ্টিয়া লাহিনী বটতলা যাওয়ার সময় কিস্তিতে নেওয়া আমার মোটরসাইকেলের কিস্তি পরিশোধের জন্য বিশ হাজার টাকা ও মোটরসাইকেল নিয়ে বের হই। ৬.৪০ মি: সময় আমি যখন টোটোর মৎস্য খামারের সামনে পৌঁছাই। তখন ছিনতাইকারী খালেকের ছেলে রানা (৩০) এবং তার অন্য এক সহযোগী মাংস ব্যবসায়ী নিজামের ছেলে রনি (২৫) সহ অজ্ঞাত কয়েকজন মিলে আমার মোটরসাইকেল রাস্তায় আটকে দেয়। দাড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে তারা আমাকে নিমিষেই কিল, ঘুষি, লাথি মেরে মোটরসাইকেল থেকে নামিয়ে দেয়ার চেষ্টা করে। আমি যখন মটরসাইকেল থেকে নামতে চায়নি তখন ছিনতাইকারী রানা রাস্তায় কাজের ইট নিয়ে আমাকে আঘাত করতে আসলে তখন আমি মোটরসাইকেল থেকে নেমে পড়লে তারা আমার গলায় দেশীয় অস্ত্র ঠেকিয়ে হুমকি দেয় চুপ থাকার জন্য। তারা বলে যদি আমি চিৎকার করি তাহলে তারা আমাকে শেষ করে ফেলবে। তারা আমার মোটরসাইকেলের কিস্তি দেওয়ার (বিশ হাজার) টাকা’সহ আমার ব্যবহত মোটরসাইকেলটি নিয়ে চলে যায়।
তারপর ঘটনাটি স্থানীয়ভাবে সবাইকে জানাইলে। এলাকার কিছু গণ্যমান্য ব্যক্তিরা আমাকে তার পরিবারের সঙ্গে বৈঠকের মাধ্যমে সমাধান করার প্রতিশ্রুতি দেন।
গত (২৯ ডিসেম্বর) শুক্রবার সকাল ৯ সময় তার পরিবারকে নিয়ে ভাঁড়রা বাজারে বসলে ছিনতাইকারী রানাকে কয়েকবার ফোন করার পরেও সেখানে সে উপস্থিত না হলে সমাজের কিছু গণ্যমান্য ব্যক্তি তার বাড়িতে যান কিন্তু ছিনতাইকারী রানা তাদেরকে হেয় প্রতিপন্ন করে। তার পরিবার এই সমস্যা সমাধানের জন্য কোন দ্বায়িত্ব নেয় না তখন।
ওই দিনই শুক্রবারে আমি কুমারখালী থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করি।
এর আগেও সে আমাদের বাড়িতে এসে নানা হুমকি ধামকি ও ভয়ভীতি দেখায়। আমরা হিন্দু মানুষ সংখ্যালঘু তাই ছিনতাইকারী রানা আমার দাদাকেও ফোনে হত্যার হুমকি ধামকি দিয়েছে।