রবিবার, ৯ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৬শে মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ই শাবান, ১৪৪৬ হিজরি
রবিবার, ৯ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৬শে মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ই শাবান, ১৪৪৬ হিজরি

কুড়িগ্রাম ৪ আসনে জিয়া পরিবার থেকে নির্বাচনের দাবি জানান যুবদল নেতা

রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি:

লন্ডনে চিকিৎসাধীসারত বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় দোয়া মাহফিল ও শীতার্তদের মাঝে উপহার হিসেবে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে। রবিবার ১২ জানুয়ারি বিকালের দিকে রৌমারী উপজেলার চরশৌলমারী ইউনিয়ন যুবদলের আয়োজনে এ কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। পরে ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ড যুবদলের নেতাকর্মীদের সাথে পরিচিতি ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে প্রভাষক নুরুল ইসলাম আহবায়ক চরশৌলমারী ইউনিয়ন যুবদল এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মঞ্জুরুল ইসলাম মঞ্জু আহবায়ক রৌমারী উপজেলা যুবদল, বিশেষ অতিথি মশিউর রহমান পলাশ সদস্য সচিব উপজেলা যুবদল,
নাজিম উদ্দীন আকন্দ সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক যুবদল,
নূর মোহাম্মদ যুগ্ম আহবায়ক, আয়নাল হক সদস্য, আয়নাল হক, শালু মিয়া ও আল আমিনসহ অনেকে।
সভাপতিত্ব করেন প্রভাষক নূরুল ইসলাম আহবায়ক চরশৌলমারী ইউনিয়ন যুবদল, সঞ্চালনে তারিফুল ইসলাম লাল সদস্য সচিব চরশৌলমারী ইউনিয়ন যুবদল।

রৌমারী উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব মশিউর রহমান পলাশ তার বক্তব্যে বলেন, ১৯৭১ সালে রৌমারী ছিল বৃহত্তর রংপুর জেলার কুড়িগ্রাম মহকুমার একটি থানা। স্বাধীনতা পরবর্তীতে এই থানার কিছু অংশ নিয়ে চররাজিবপুর নামে আরও একটি থানার জন্ম হয়।

এই রৌমারী মুক্তিযুদ্ধের পুরো সময়টা জুড়েই ছিল মুক্ত; কোনো পাকিস্তানি সৈন্যের পা পড়ে নি এখানে! এই কৃতিত্বের দাবিদার এখানকার সাধারণ মানুষ, সাহসী মুক্তিযোদ্ধা এবং যারা রৌমারী প্রতিরক্ষার দায়িত্বে ছিলেন। একাত্তরের জুনের শেষভাগে জেড ফোর্স গঠিত হলে রৌমারী তখন চলে যায় জেড ফোর্সের সরাসরি কমান্ডে যার কার্যালয় ছিল মেঘালয়ের তেলঢালায় (তুরার তেলঢালা)। তৎকালীন জেডফোর্স কমান্ডার ছিলেন মেজর জিয়াউর রহমান। মেজর জিয়ার তীক্ষ্ণ দূরদর্শিতায় রৌমারী প্রতিরক্ষার দায়িত্ব পান মেজর শাফায়াত জামিল ও লে. নুরন্নবী খান। তিনি তাদের দায়িত্ব দেয়ার সাথে সাথে নিয়মিত তত্ত্বাবধানেও রাখেন। এভাবেই রৌমারী ও মেজর জিয়াউর রহমান এর মধ্যে ঐ সময়ে এক অবিচ্ছেদ্য অংশ গড়ে ওঠে যার

প্রতিফলন নিম্নরূপ: তার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে রৌমারী ছিল স্বাধীনতা যুদ্ধের পুরোসময় মুক্ত। তিনি রৌমারীর মুক্ত বাতাস উপভোগ করতে নিয়মিত লঞ্চ নিয়ে রৌমারীর নদী ভ্রমণ করতেন। তিনি ছিলেন রৌমারী হতে প্রকাশিত অগ্রদূত পত্রিকার প্রধান পৃষ্ঠপোষক। তিনি যুদ্ধকালীন সময়ে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রতীক স্বরূপ হাসপাতাল, কাস্টমস, ডাকবিভাগ, বিচার ব্যবস্থা,

বেসামরিক কার্যক্রম উদ্বোধন করেন, তার নেতৃত্বে রৌমারীতে প্রথম সামরিক ক্যান্টনমেন্ট ও সামরিক স্কুল প্রতিষ্ঠা হয় যেখান থেকে প্রায় ২০ হাজার মুক্তিযোদ্ধা ট্রেনিং গ্রহণ করে। তিনি মুক্ত রৌমারীতে যুদ্ধকালীন সময়ে বেতারকেন্দ্র ও বিমানবন্দর নির্মাণের পরিকল্পনা করেন।

এই কারণে ২৮ কুড়িগ্রাম-৪ রৌমারী, রাজিবপুর ও চিলমারী আসেন আগামীর জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মুক্তিযুদ্ধকালীন স্মৃতি বিজরিত ঐতিহাসিক জিয়া পরিবার থেকে নির্বাচন করার দাবি জানান এই যুবদল নেতা।

সম্পর্কিত