রাজু আহমেদ কুড়িগ্রাম: কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার ঘোগাদহ ইউনিয়নে কেবলের ভিটা কুমার পাড়া হারিয়ার দোলা। যুব সমাজের উদ্যোগে ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আয়োজন কারীদের উদ্দেশ্য যুব সমাজকে খারাপ কাজ থেকে বিরত রাখায় তাদের এই সম্মিলিত পিয়াস। খেলার নামে জুয়া খেলা, মাদকের বিরুদ্ধে যুব সমাজকে এগিয়ে নিয়ে চলা,খেলার মূল স্লোগান জুয়া খেলা বন্ধ করি ফুটবল খেলা চালু করি। মাদক কে না বলি সুস্থ সুন্দর জীবন গড়ি,
বুধবার (২৪ জানুয়ারি ২০২৪) বিকেলে ওই ইউনিয়নের কেবলের ভিটা কুমার পাড়া হারিয়ার দোলা মাঠে এ খেলা অনুষ্ঠিত হয়। খেলা শেষে পুরস্কার বিতরণ করেন জনাব মোঃ মনজুরুল ইসলাম রতন।
উপ দপ্তর সম্পাদক বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কুড়িগ্রাম জেলা শাখা।
আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
জনাব মোঃআবু বক্কর সিদ্দিক (মিলন) সাধারণ সম্পাদক বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ ফুলবাড়ী উপজেলা শাখা
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। জনাব মোঃশাহ-আলম মিয়া,সাবেক চেয়ারম্যান ঘোগাদহ ইউপি। জনাব আলহাজ্ব মোঃআব্দুল গফুর চেয়ারম্যান যাত্রাপুর ইউপি । জনাব আলহাজ্ব মোঃ সাইদুল ইসলাম চেয়ারম্যান ভোগডাঙ্গা ইউপি।
জনাব মোঃএনামুল হক বিজয়,সমাজ সেবক ৯নং ওয়ার্ড পাঁছগাছী। জনাব মোঃসোরাব আলী, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী যাত্রাপুর। জনাব মোঃবেলাল উদ্দিন মাস্টার প্রধান শিক্ষক চৈতার খামার নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়।
জনাব মোঃশাহিনুর আলম (শাহিন)সাধারণ সম্পাদক বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ ঘোগাদহ।
যাদের কথা না বললে নয় অক্লান্ত পরিশ্রম ও সহযোগিতার মধ্যে দিয়ে এত বড় আয়োজন
জনাব মোঃরাজু আহমেদ সাংবাদিক, ও মাকেটিং অফিসার নিউ খাঁন ডায়াগনস্টিক এন্ড সিটি স্ক্যান সেন্টার । জনাব মোঃএরশাদুল হক (এরশাদ)সদস্য সচিব বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদল ঘোগাদহ।
মোঃজাহিদ হাসান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। জনাব মোঃশাহিনুর আলম কুমার পাড়া ঘোগাদহ।
মোঃহারুন অর রশি মেডিকেল প্রমোশন অফিসার নিপ্র ফার্মা।
মোঃমাহফুজ এলাহি (রানা) অ্যাসিস্ট্যান্ট টিচার আমিন উদ্দিন দাখিল মাদ্রাসা।
ডাঃ অমূল্য চন্দ্র সরকার।
খেলার সভাপতিত্ব করেন। জনাব আব্দুল মালেক, চেয়ারম্যান ৪ নং ইউনিয়ন পরিষদ
কুমার পাড়া যুব সমাজ।
স্থানীয় গন্য মান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্তিত ছিলেন।
ফুটবল টুর্নামেন্ট দেখতে আসা বৃদ্ধ আমিনুল ইসলাম জানান, আমার বয়স প্রায় ৭৫ বছর, ‘আমার জীবনে আমি বিভিন্ন স্থানে খেলা দেখছি এতো মানুষ দেখি নাই। এ ফাইনাল খেলায় মানুষ হবে প্রায় ৩০-৩৫ হাজার।’
এ বিষয়ে ঘোগাদহ ইউনিয়নের ( ইউপি) চেয়ারম্যান জনাব মোঃ আব্দুল মালেক জানান, এ খেলাটিতে এতো মানুষের সমাগম হবে ভাবতেই পারি নাই। প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত খেলায় কোন ঝগড়া বিবাদ হয়নি। পাশাপাশি আইন শৃঙ্খলার অবনতি ঘটেনি আমরা আগামীতে আবারও এ খেলার আয়োজন করবো।
ফুটবল টুর্নামেন্টে কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার লাইজু কিংস একাডেমি কুড়িগ্রাম ১ সদরের উপজেলার ঘোগাদহ ইউনিয়নের চক্র বতী কিংস এলেভেন গালর্স মোর ২
চ্যাম্পিয়ন হয় ঘোগাদহ।
বিজয়ী দলকে প্রথম পুরস্কার দেয়া হয়েছে একটি গরু ও পরাজিত দলকে দ্বিতীয় পুরস্কার হিসেবে দেয়া হয়েছে একটি ল্যাপটপ।
মানুষ একটু আনন্দের জন্য কত না কিছু করে। তার মধ্যে একটি হচ্ছে খেলা। পৃথিবীতে অনেক ধরণের খেলা আছে। একেক দেশের খেলা একেক ধরণের হয়ে থাকে। তবে আমার সবচেয়ে ভাললাগে ফুটবল খেলা। টিভিতে সবাই দেখেছেন ফুটবল খেলা। ম্যারাডোনা থেকে শুরু করে রোলানদো পর্যন্ত আরো কত বিখ্যাত সব খেলুয়াড়ের খেলা। কিন্তু আমি বলছিনা তাদের মত খেলার কথা। এই খেলা একটু ভিন্ন রকমের আমি বলছি গ্রামের ফুটবলের খেলার কথা। এখানে পিলিয়ারের কোন সিমাবদ্ধতা নেই, জার্সিতে রয়েছে তারতম্য, বয়সের নেই কোন পার্থক্য, যেভাবে পারে সেভাবে পোশাক পরে নেমে যায় ময়দানে। তবে ময়দানটি হোকনা কোন কোন আমের বাগান, কিংবা ধানের ক্ষেতের কেয়ার। শুধু একটু আনান্দের জন্য এসব খেলা খেলে থাকে গ্রামের ছেলে-থেকে বড় পর্যন্ত। গ্রামের ছেলেরা আবার বিভিন্ন টুনামেন্টের ব্যাবস্থা করে। তবে সবচেয়ে মজাদার খেলা বা টুনামেন্টির নাম হচ্ছে বিয়েদারী বনাম অবিয়েদারী [অর্থাৎ বিবাহিত ও অবিবাহিত] মধ্যে। যখন বিভিন্ন প্রচারের মাধ্যমে ঘোষনা দেয়া হয় এই খেলার, তখন খেলার মাঠ কানায়, কানায় ভরে উঠে। অবশেষে যেই দল জয়ী হক না কেন দুই দলের মধ্যে তো ঠাট্টা-মসকরা , হাসিতো আছেই। এই হলো গ্রামের ফুটবল খেলা। খেলাটা হোকনা কেন ছোট কিন্তু এতে মজাতো আছে।
কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার , ঘোগাদহ ইউনিয়ন এর ১নং ওয়াড কুমার পাড়া হারিয়ার দোলার প্রতিবার এই খেলার আয়োজন করা হয়।
বিভিন্ন উপজেলা, ইউনিয়ন গ্রাম থেকে প্রায় ৩০থেকে ৩৫ হাজার দশক হয় প্রতি খেলার।যা উত্তরবঙ্গের ইতিহাসে প্রথম মানুষের জমায়েত এতো বড় আয়োজন কারীদের অনেক ধন্যবাদ