আবু জাফর সোহেল রানা,
কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:
কুড়িগ্রাম উলিপুর উপজেলায় হাতিয়া ইউনিয়নে গ্রাজুয়েট ক্লাবের সহযোগিতায় পুলিশ সুপার এর নির্দেশনায় করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে গ্রাজুয়েট ক্লাবের সদস্যরা বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে স্থানীয় বিভিন্ন পেশাজীবী মানুষদের নিয়ে”করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ”কমিটি গঠন করা হয়েছে।সম্প্রতি বিদেশ ফেরত ও ঢ়াকা ফেরত লোকজনের হোম কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করার পাশাপাশি হাতিয়া ইউনিয়নের প্রতিটি স্থানে লোকজনকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলাচলের দিক নির্দেশনা দেয়ার কথা জানা যায়।
সরকারি নির্দেশনা মেনে মানুষ বাড়িতে থাকলেও ওষুধ, কাঁচা বাজার কিনতে বা জরুরি প্রয়োজনে বের হতে হচ্ছে অনেককে। জরুরি প্রয়োজনে বের হওয়া এসব মানুষের সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে হাতিয়া ইউনিয়নের করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ কমিটির ব্যতিক্রমী কিছু উদ্যোগ নেয়। কমিটির উদ্যোগে প্রতিটি এলাকায় ওষুধ ও মুদির দোকানের সামনে অন্তত তিন ফুট দূরে দূরে গোলচিহ্ন এঁকে দেওয়া হয়েছে।ক্রেতারা এসে এসব চিহ্নত স্থানে দাঁড়াচ্ছেন ও নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ক্রয় করছেন। কোন একজন না মানলে তাকে খরচ দেয়া নিষেধ। দোকানদার না মানলে আইনশৃংখলা রক্ষা বাহিনীর কাছে অভিযোগ দেয়া হবে আইনী ব্যবস্থা নেয়ার জন্য।
প্রতিরোধ কমিটির প্রধান উপদেষ্টা আলহাজ্ব মোঃ মতিউর রহমান বিএসসি জানান, আমাদের গ্রাজুয়েট ক্লাবের উদ্যোগে করোনাভাইরাস প্রতিরোধ কমিটির সদস্যরা ঘনঘন সাবান-পানি দিয়ে হাত ধোয়া ও জনসমাগম এড়িয়ে চলার উপর ইউনিয়নে স্বাস্থ্য শিক্ষা মাইকিং সহ পাড়ায় মহল্লার ও বাজারে গিয়ে করোনা বিষয়ে সুপরামর্শ দেন।
গ্রাজুয়েট ক্লাবের চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক সরকার বলেন, লোকজনের সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে হাতিয়া ইউনিয়নের প্রতিটি বাজার ও মোড়ের লোকজনের সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে ওষুধ এবং মুদি দোকানের সামনে আমরা তিন ফুট দূরে দূরে গোলচিহ্ন এঁকে দিয়েছি। সেই সঙ্গে ক্লাবের পক্ষ থেকে সাধারণ মানুষের মাঝে মাস্ক বিতরণ করা হয়।রাস্তায় চলাচলের সময় বিভিন্ন যানবাহনে স্প্রে করা হয়।
হতদরিদ্র মানুষের পাশে দাঁড়াতে বিত্তবানদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ক্লাবের উপদেষ্টা মন্ডলী। পাশাপাশি কোন বাড়ীতে খাদ্যসংকট দেখা দিলে এবং সে পরিবার সরকারি সাহায্য পাওয়ার পর্যায়ে পরলে তারা তা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানাবেন।
জেলা পুলিশ সুপার কুড়িগ্রাম “করোনা সংক্রামক রোধে আসুন অভ্যাস করি, বাড়িতে থাকি” শিরোনাম সম্বলিত একটি ব্যানার প্রদান করেন।