মঙ্গলবার, ১৪ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৩০শে পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৪ই রজব, ১৪৪৬ হিজরি
মঙ্গলবার, ১৪ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৩০শে পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৪ই রজব, ১৪৪৬ হিজরি

কুড়িগ্রামে জ্বিন দিয়ে সমস্যা সমাধান’, ভন্ড কবিরাজের খপ্পরে হাজারো মানুষ

নিজস্ব প্রতিবেদক:কবিরাজ একটি সুপরিচিত নাম। প্রাচীন যুগ থেকেই ভারত উপমহাদেশে সহ পাকিস্তান ও বাংলাদেশ কবিরাজি পেশাই, নিয়োজিত ছিলেন অসংখ্য হাকিম ও কবিরাজ। যারা মানুষের কল্যাণে কাজ করে গেছে সর্বদা।চিকিৎসা বিজ্ঞান অউন্নত হওয়ার কারণে , অধিকাংশ জনবসতি নির্ভরশীল ছিল কবিরাজদের উপরে। তারা বিভিন্ন গাছ-গাছরা ও জরিপুটি মাধ্যমে চিকিৎসা করত সাধারণ জনগণের উপকারের জন্য।

আজ এই মহৎ পেশা কে কুলুষিত করছে কিছু অসাধু ভন্ড প্রতারক লোকজন।কবিরাজ সেজে সাধারণ জনগণের কাছ থেকে, হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা। এমন একজন ভন্ড কবিরাজের সন্ধান মিললো।

কুড়িগ্রামের উপজেলা বেগমগঞ্জ ইউনিয়ন এর ৩ নং ওয়ার্ড বেপারীপাড়া চৌমনী বাজারের পাশে। বাহাদুর কবিরাজ, (২৫) পিতা মো: নুরু মিয়া। তিনি দীর্ঘদিন ধরে এই কবিরাজ সেজে, ভন্ডামি করে সাধারণ জনগণের কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়েছে লক্ষ লক্ষ টাকা। সে জানে না কোন লেখাপড়া, নেই কোন কবিরাজি করার দক্ষতা নেই কোন সনদ পত্র। নিজের মন গড়া মন্ত্র পাঠ করে পাগলের মতো। নেই কোন কুরআন শিক্ষা, নেই কোন অন্য ধর্মের শিক্ষা। ভুলভাল কুরআনের আয়াত পাঠ করে, মানুষের কাছে থেকে হাতিয়ে নিয়েছে লক্ষ লক্ষ টাকা।

১./তিন গাছের ৩টি ফুল ২./ সাড়ে তিন হাত বড়শির সুতা ৩./আটিয়া কলার থোড় ১টি ৪./ তিনটি পান ৫./ তিনটি সুপাড়ী ৬./তিন মজিদের পানি ৭./নদীর পাকের পানি ৮./ চীনা মাটির প্লেট ৭টি ৯./৩টি মলা ১০./৩টি কলা ১১./ মহিষের দাঁড়ের ফেনী ১টি। এইসব দিয়ে চলছে তার কবিরাজী বাহাদুর মিয়া কিছু লোকজনকে নিয়ে, একটি সিন্ডিকেট তৈরি করেছে। যাদের মধ্যেমে এই প্রতারণা ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে দীর্ঘদিন ধরে।
স্থানীয় একজন ভুক্তভুগী জানান তার অন্ধকার ঘরের ভেতর পদ্মার আড়ালে কিভাবে জ্বিন আসে তা আমরা দেখিনি কিন্তু সেখানে একটি অলৌকিক কন্ঠ চলে আসে
এবং ওই ভাষায় আমাদের থাকা সবাইকে সালাম দেয় তাই মনে হয় সত্যি সত্যি সেখানে জ্বিন উপস্থিত হয়েছে
তাই যখন যে যা বলে তারা তাই করার চেষ্টা করে।

তখন ভুক্তভোগীদের কিছু দেয়া হয় আর এই সত্য রাজি থাকলে তখন কিছু টাকা ডিমান্ড করে বসে। তখন তারা রাজি হয়ে সেখান থেকে চলে আসে। এরপর বিষয়টি আমাদেরকে জানানো হলে আমরা সেখানে উপস্থিততে ভন্ড কবিরাজ পালিয়ে যায়।আর আমরা ওই ঘরের ভেতর ঢুকে ঘটনার সত্যতা জানতে পারি আসলেই সে কিছুই জানে না সে একটি ডিভাইসের মাধ্যমে শব্দ দিয়ে জ্বীন এর পরিচয় দেন সেই শব্দ একটি কাপড়ের আড়ালে দুটি স্যান্ডবক্স এর মাধ্যমে তাদেরকে শোনানো হয় কিন্তু তারা বুঝতে পারে না যে বক্সে কথা বলতেছে।

এমনকি তাকে যদি কেউ কোন ধরনের প্রশ্ন করেন
তখন তার সাথে থাকা একটি মাইক্রোফোন দিয়ে
নিজ ভাষায় কথা বলে।

কবিরাজ বাহাদুরের নম্বরে  মুঠোফোনে কল দিয়ে এই সকল বিষয় জানতে চাইলে তা তিনি অস্বীকার করেন। বলেন আমাদের লাইসেন্স করা আছে তাই সেটি কতটুকু সত্য এই বিষয়ে তার কাছে দেখতে চাইলে তিনি দেখাবেন না বলে জানিয়ে দেন এবং বলেন আপনাদের যা করার তাই করেন।

এই বিষয়ে সঠিক তদন্ত করে কতটুকু সত্য তা সকল এর কাছে প্রমাণ করে এরকম ভন্ড কবিরাজদের আইনের আওতায় এনে কঠিন শাস্তি দাবি করছে এলাকাবাসী।

সম্পর্কিত