শনিবার, ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২১শে মহর্‌রম, ১৪৪৬ হিজরি
শনিবার, ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২১শে মহর্‌রম, ১৪৪৬ হিজরি

কুড়িগ্রামে জেঁকে বসেছে শীত তাপমাত্রা নেমেছে ১৫ ডিগ্রিতে

কুড়িগ্রাম সংবাদদাতা: কুড়িগ্রামে জেঁকে বসেছে শীত। শনিবার সন্ধ্যার পর থেকে রবিবার সকাল পর্যন্ত কুয়াশার চাদরে ঢাকা ছিল কুড়িগ্রামের পুরো জনপদ। কমতে শুরু করেছে তাপমাত্রা।

হঠাৎ শীতের প্রকোপে জবুথবু অবস্থা হয়েছে স্থানীয়দের। পর্যাপ্ত শীতবস্ত্রের অভাবে বিপাকে পড়েছেন হতদরিদ্র ও নদী তীরবর্তী চরের বাসিন্দারা।

রবিবার সকালে জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্র রেকর্ড করা হয়েছে ১৫ ডিগ্রি। কুড়িগ্রাম আবহাওয়া অফিস এ তথ্য জানিয়েছে।

এর আগে গত মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে জেলায় শীত অনুভূত হতে শুরু করে। ধীরে ধীরে এর তীব্রতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। গত এক সপ্তাহ থেকে জেলার তাপমাত্রা ১৫ ডিগ্রি থেকে ১৮ ডিগ্রির মধ্যেই ছিল।

এদিকে শীতের প্রকোপ থেকে রক্ষা পেতে মধ্যবিত্ত পরিবারগুলো আগাম প্রস্তুতি গ্রহণ করলেও হতদরিদ্র ও অসহায় পরিবারগুলো তাকিয়ে আছে সরকারি সহযোগিতা ও বিত্তবানদের দিকে। শীতের শুরুতেই দুশ্চিন্তা ভর করছে তাদের মনে।

জেলার উলিপুর, সদর, চর রাজিবপুর, চিলমারী, নাগেশ্বরী, ফুলবাড়ী, ভূরুঙ্গামারী ও রাজারহাট উপজেলার সর্বত্র বিরাজ করছে এ পরিস্থিতি।

নাগেশ্বরী উপজেলার ভিতরবন্দ ইউনিয়নের মমিনা বেগম জানান, কয়েকদিন থেকে খুবই শীত পড়ছে। আজ সকালেতো কুয়াশার কারণে রাস্তাই দেখা যাচ্ছে না।

তাপমাত্রা আরও কমতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। তবে শীতার্ত মানুষের জন্য জেলা প্রশাসন থেকে ৯ উপজেলা ও ৩ পৌরসভায় ৩১ হাজার কম্বল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসকের ত্রাণ ভান্ডারে মজুত রয়েছে আরও ১৫ হাজার কম্বল।

কুড়িগ্রাম রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বলেন, আজ সকালে জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৫ দশমিক সেলসিয়াস। যা আগামীতে আরও কমার সম্ভাবনা রয়েছে।

সম্পর্কিত

মাত্রই প্রকাশিত