বুধবার, ২৬শে মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৬শে রমজান, ১৪৪৬ হিজরি
বুধবার, ২৬শে মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৬শে রমজান, ১৪৪৬ হিজরি

কুড়িগ্রামের ইজতেমা শেষ হলো লাখো মুসল্লীর আমিন আমিন ধ্বনিতে

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ কুড়িগ্রাম সদরের ধরলা ব্রিজ পূর্ব পাড়ে সৈয়দ ফজলুল করিম (রহ.) জামিয়া ইসলামিয়া মাদরাসা মাঠে শুরু হওয়া তিন দিনের ইজতেমা আখেরি মোনাজাতের মধ্যে দিয়ে শেষ হয়েছে।

রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) সকালে এই আখেরি মোনাজাত অনুষ্টিত হয়।

বাংলাদেশ মুজাহিদ কমিটির ব্যানারে আয়োজিত এ ইজতেমায় দেশ ও জাতির শান্তি ও সম্মৃদ্ধি কামনা করে সকাল ৯ টায় মুনাজাত পরিচালনা করেন চরমোনাই পীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম। এসময় আগত মুসল্লিদের মাঝে কান্নার রোল পড়ে যায়। মুনাজাত পূর্ব বয়ানে চরমোনাই পীর বলেন, নামাজ, রোজা যেমন ইবাদাত তেমনি আল্লাহর হুকুম অনুযায়ী ব্যক্তি, সমাজ ও রাষ্ট্র পরিচালনা করাও ইবাদাত। ভোট মানে স্বাক্ষী দেয়া সমর্থন করা। তাই বুঝে শুনে সেই সমর্থন দেয়া উচিত। তিনি আরও বলেন, দুনিয়া ও আখিরাতে কামিয়াব হতে হলে আল্লাহর কাছে পুরোপুরি আত্মসমর্পণ করতে হবে।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার সকালে লাখো মুসল্লিদের অংশগ্রহণে শুরু হওয়া তিন দিনের এ ইজতেমায় উদ্বোধনী বয়ান করেন চরমোনাই পীর মাওলানা মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম।

তিনি ইজতেমা ব্যবস্থাপনা কমিটি, আগত মুসল্লী, সাংবাদিকবৃন্দ, ইজতেমার নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা প্রশাসনের সকল সদস্য, এলাকাবাসীসহ নিপিড়ীত বিশ্বের সকল মুসলমানদের জন্য মাগফিরাত কামনা করেন। বিশেষ করে ফিলিস্তিনী মুসলমানদের জন্য বিশেষভাবে দোয়া করা হয়।

রাজারহাট উপজেলা থেকে আসা আনিসুর রহমান নামের এক মুসল্লী বলেন, আমি গত বৃহস্পতিবার ইজতেমা ময়দানে আসি। এখানে তিনদিন ধরে ছিলাম। হাজার হাজার মানুষ এসেছে এখানে। আজ সকালে আখিরি মুনাজাতের মধ্যে দিয়ে ইজতেমা শেষ হলো।

আমি প্রতি বছর ইজতেমায় আসি এবারেও আসছি।

ইজতেমার সদস্য সচিব মাওলানা আব্দুল মোমিন বলেন, তিনদিন ব্যাপী বয়ানে আরও অংশ নেন, মুফতী সৈয়দ ফয়জুল করীম শায়েখে চরমোনাই, মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, পীর সাহেব খুলনা, নও মুসলিম ডা. সিরাজুল ইসলাম সিরাজী, মাওলানা রেজাউল করীম, মোসলেহ উদ্দীন আজাদী, রংপুর বিভাগীয় মুজাহিদ কমিটির সদস্য জয়নুল আবেদীন প্রমুখ।

সম্পর্কিত