শনিবার, ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২১শে মহর্‌রম, ১৪৪৬ হিজরি
শনিবার, ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২১শে মহর্‌রম, ১৪৪৬ হিজরি

কাহালু উপজেলায় আমন ধানের বাম্পার ফলন কৃষকের মুখে ফুটে উঠেছে হাসি

মোঃ সুমন প্রাং
বগুড়া জেলা প্রতিনিধিঃ

কাহালু উপজেলা চলতি মৌসুমে আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানিয়েছে, এবার উপজেলায় ৫,৬০০ হেক্টর জমিতে আমন ধানের চাষাবাদ হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) সরেজমিনে লালমনিরহাট সদর উপজেলার বিভিন্ন ধানক্ষেত ঘুরে দেখা যায়, বেশিরভাগ ক্ষেতের ধানই পেকে গেছে। অনেকে আবার আগাম লাগানো ধান কাটা-মাড়াই শুরু করেছেন। আগাম ধানের ফলন ভালো হওয়ায় কৃষকের মুখে ফুটে উঠেছে হাসি।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়,কাহালু উপজেলা কৃষকরা উঁচু জমিতে মূলত আগাম ধান লাগিয়েছে। আগাম হাইব্রিড জাতের ধানের ফলন তুলনামুলক কম হয়েছে। সাধারণত এসব অঞ্চলের মাটিতে বছরে ২-৩ টি ফসল চাষাবাদ করেন কৃষকরা। আমন ধান কাটার পরে এই জমিতে আলু চাষ করা হবে। কিছু জমিতে আগাম আলুর চাষ শুরু হয়েছে।

কৃষকরা জানান, এবার নানান প্রতিকূলতার মধ্যে আমন ধান লাগাতে হয়েছে। সময়মতো বর্ষার পানি না পাওয়া এবং তেলের দাম বাড়ায় বিপাকে পড়েছিলেন তারা। এতে খরচ বেশি হয়েছে। তবে ফলন ভালো হওয়ায় আশায় বুক বাঁধছেন কৃষকরা।

কাহালু উপজেলার মালিবাড়ী গ্রামের কৃষক আফজাল হোসেন বলেন, এবার ধান চাষের সময় বৃষ্টির পানি না পাওয়ায় একটু সমস্যায় পড়তে হয়েছিল। তারপরও ফলন ভালো হয়েছে। ১৬বিঘা জমিতে আমন ধানের চাষ করেছি। প্রায় জমির ধান পেকে গেছে।কিছু মাড়াই করেছি আর বাকি দু-একদিনের মধ্যে ধান কাটা-মাড়াই শুরু করবো।
কাহালু উপজেলার কাউড়াস গ্রামের কৃষক আনসার আলী মেম্বারের সঙ্গে কথা হলে তিনি জানায়, ধানের ফলন ভালো হয়েছে। তিনি বলেন উঁচু জমি গুলোতে খরচ বেশি হয়েছে কারন শেলো মেশিন দিয়ে পানি দিয়ে ধান ফলাতে হয়েছে তবে তেমন লাভ না হলেও ঘর ঘর হবে।
তিনি আরো বলেন, এবার ৩ বিঘা জমিতে ধান চাষ করেছি, স্বর্ণা জাতের ধান তুলনামূলক ভালো হয়েছে।

উল্লেখ, আগাম জাতের হাইব্রিড ধান, ধানী গোল্ড, এমজেড, জাতের ধান ১ বিঘা জমিতে সর্বোচ্চ ২-৩ ধান ফলেছে তবে বেশিরভাগ চিটা হয়েছে। জেলার আগাম জাতের এসব ধান চাষীরা তাদের খরচের টাকা তুলতে পারেনি। এ ব্যাপারে কৃষি কর্মকতা বলেন হয়তোবা তারা যত্ন নিতে পারেনি নতুবা ফুল আসার সময় বাতাস হয়েছে।

বগুড়া জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বলেন, চলতি মৌসুমে ৮৫ হাজার ৬’শত হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষ করেছেন কৃষকরা। এখন পর্যন্ত ৪০% ধান কর্তন করা হয়েছে। জেলায় প্রায় ১৩ হাজার হেক্টর জমিতে আগাম ধান চাষাবাদ করা হয়েছে। জাতীয় ভাবে ৩.০১ টন পার হেক্টর জমিতে চাউল হওয়ার কথা সেখানে ৩.২০ ফলন পেয়েছেন কৃষকরা। তবে ২য় ধাপে যেসব ধান কৃষকরা কর্তন করছে সেগুলো পরিমানে একটু কম হতে পারে।

সম্পর্কিত

মাত্রই প্রকাশিত