সোহেল রানা, লালমনিরহাটঃ লালমনিরহাটের কালীগঞ্জে স্বামীর নির্য়াতনের শিকার হয়ে স্ত্রী তাহমিনা বেগম (১৯) এর মৃত্যু হয়েছে। মৃত তাহমিনা বেগম উপজেলার চলবলা ইউনিয়নের নিথক শিয়ালখোওয়া এলাকার তাহের আলীর মেয়ে। অভিযুক্ত স্বামী উপজেলার কাকিনা ইউনিয়নের মহিশামুড়ি (মাস্টার মোড়) এলাকার আব্দুর রহমানের পুত্র আলমগীর হোসেন ওরফে গোলাম নামে পরিচিত।
৭ই মার্চ ( বৃহস্পতিবার) বিকেল ৫ টায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গৃহবধু তাহমিনার এ মৃত্যু ঘটে।
সরেজমিনে জানা যায় তাহমিনা বেগম অভিযুক্ত স্বামী আলমগীর হোসেনের ৩য় স্ত্রী। এরপূর্বে একই অভিযোগে আলমগীর হোসেনের ১ম ও ২য় স্ত্রীর তার সংসার না করে চলে যান। এরপরই আলমগীর হোসেন তাহমিনা কে বিয়ে করেন।
কিন্তু গতকাল ৬ ই মার্চ তাহমিনা বেগম তার নিজ বাবার বাড়িতে থাকায় স্বামী আলমগীর হোসেন শ্বশুর বাড়িতে তাহমিনার কাছে যান। এবং তাহমিনার বাবা মা কেউ বাড়িতে না থাকা অবস্থায় স্বামী স্ত্রীর মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এর এক পর্যায়ে স্বামী আলমগীর হোসেন গাছের ডাল দিয়ে স্ত্রীকে নির্যাতন করলে ডালের আঘাতে স্ত্রীর মাথা ফেটে যায় এতে স্ত্রী তাহমিনা রক্তাক্ত অবস্থায় অজ্ঞান হয়ে পড়ে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ভর্তি করেন। মেডিকেলে ভর্তিরত অবস্থায় স্ত্রী তাহমিনা ৭ ই মার্চ বিকেল ৫ টায় মারা যান বলে জানা গেছে।
এ ঘটনায় স্থানীয় কিছু দালাল চক্র বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেস্টা অব্যাহত রেখেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্তের পক্ষে এক ইউপি সদস্য রাজনৈতিক ভাবে তদবির করছেন বলে জানা যায়।
অভিযুক্ত আলমগীর হোসেনের খোঁজ করতে এলাকায় গেলে তাকে পাওয়া যায়নি। গাঁ ঢাকা দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। স্থানীয় ইউপি সদস্য রমজান আলী কে ফোন করা হলে সুকৌশলে বিষয়টি এড়িয়ে যেতে তিনি চিনেন না বলে জানান।
কালীগঞ্জ থানা পুলিশ সুত্রে জানা গেছে বিষয়টি তারা জানতে পেরেছেন। বিষয়টি আইনগত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে প্রস্তুতি চলছে বলে জানা গেছে।