শনিবার, ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২১শে মহর্‌রম, ১৪৪৬ হিজরি
শনিবার, ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২১শে মহর্‌রম, ১৪৪৬ হিজরি

কাউনিয়ায় শীতে কাপছে নদী পাড়ের মানুষ

মোঃ মোশারফ হোসেন,কাউনিয়া রংপুর প্রতিনিধিঃমাঘের শীতে বাঘ কাঁদে’ গ্রামবাংলায় প্রচলিত এ প্রবাদ ভেঙে এবার পৌষের শুরুতেই হাড় কাঁপানো শীত রংপুরের কাউনিয়ায় জেঁকে বসেছে। সেই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে দিনভর পথঘাট ঘন কুয়াশার চাদরে ঢেকে থাকায় দৈনন্দিন জীবনযাত্রা আরও বিপর্যস্ত করে তুলেছে। খড়-কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা ছিন্নমূল ও দরিদ্র তিস্তা পাড়ের মানুষের।শুক্রবার শীতের কারণে স্বাভাবিক কর্মকাণ্ডে স্থবিরতা দেখা গেছে। বিশেষ করে নিম্নআয়ের শ্রমজীবী মানুষ গুলো কর্মহীন হয়ে পড়েছেন। কাউনিয়া উপজেলার তিস্তার চরাঞ্চলসহ বিভিন্ন গ্রামে দেখে গেছে, শুক্রবার সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত সূর্যের মুখ দেখা যায়নি। শৈত্যপ্রবাহ ও ঘন কুয়াশা এবং কনকনে ঠাণ্ডায় জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। চরম দুর্ভোগে পড়েছে ছিন্নমূল ও খেটে খাওয়া মানুষগুলো। তীব্র শীতে অনেকে প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছেন না। এরপরও জীবিকার তাগিদে শ্রমজীবীরা শীত উপেক্ষা করে হাটু পানি পাড় হয়ে চরে কাজ করছে।তীব্র ঠাণ্ডা শৈত্যপ্রবাহের কারণে শ্বাসকষ্টসহ ঠাণ্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন অনেকে। দুর্ভোগ বেড়েছে গবাদিপশু নিয়েও।

কাউনিয়া উপজেলার নিম্নবিত্তের মানুষ শীতবস্ত্রের অভাবে ভীষণ কষ্টে দিন কাটাচ্ছে। ঘন কুয়াশার কারণে বাস, ট্রাক ও অন্যান্য যানবাহন হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে।
কাউনিয়ার দীপচর ঢুষমারা ভারাটিয়া গ্রামের, মোরসেদা বেগম বলেন, দিন কী রাত খালি ঠাণ্ডা লাগচ্ছে। শুক্রবার বিকাল পর্যন্ত সূর্যের দেখাই নাই। সূর্য না ওঠায় অন্যের জমিতে আলু তুলতে যেতে পারিনাই।রংপুর আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রেজাউল করিম জানান, কাউনিয়াসহ রংপুর অঞ্চলে দু একদিনের মধ্যে তাপমাত্রা বেড়ে যাবে। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. আহসান হাবীব সরকার জানান, সরকারিভাবে ২ ধাপে ৩ হাজার ৫৩০টি কম্বল পেয়েছি, ইউএনও স্যারের সমন্বয়ে তা বিতরণ করা হচ্ছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মহিদুল হক জানান, সরকারিভাবে যে কম্বল পাওয়া গেছে তা চেয়ারম্যানদের মাধ্যমে দেওয়া হচ্ছে।

সম্পর্কিত

মাত্রই প্রকাশিত