বুধবার, ৩০শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১৭ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ২রা জিলকদ, ১৪৪৬ হিজরি
বুধবার, ৩০শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১৭ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ২রা জিলকদ, ১৪৪৬ হিজরি

কলেজ ও শিক্ষকের সম্মান নষ্ট করতেই মিথ্যা অপবাদ প্রচার 

চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধিঃনবাবগঞ্জ সরকারি কলেজের এক শিক্ষকের সম্মান নষ্ট ও হয়রানি করতেই মরিয়া হয়ে উঠেছে এক কুচক্রি মহল। শিক্ষকের সম্মান নষ্ট করতে বেছে নিয়েছে এই কলেজেরই তৃতীয় বর্ষে পড়া এক ছাত্রীকে (ফাতিমা খাতুন পিতা- হযরত আলী, ঠুঁঠাপাড়া,শিবগঞ্জ) । এই ছাত্রীকে জড়িয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিত্তিহীন বানোয়াট তথ্য রটানো হচ্ছে।

কিছুদিন আগেই ঐ ছাত্রী নিজ একাউন্ট থেকে ঐ শিক্ষকের সাথে সম্পর্ক ছিল মর্মে স্ট্যাটাস দেয়।এমনকি ওই ছাত্রী অন্তঃসত্ত্বা এই কথাটি কিছু ফেসবুক পেইজে রটানো হয়। কিন্তু তার একদিন পরেই অধ্যক্ষ বরাবর যে অভিযোগটি করে সেই অভিযোগে অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার বিষয়ে কোনো কিছু উল্লেখ করেনি।

এই বিষয়টি অনুসন্ধান করতে গিয়ে দেখা যায় যে, ফাতিমা খাতুন অনলাইন পেইজের এক সম্পাদককে দেয়া বক্তব্যে অশ্লীল তথ্য ও অন্তঃসত্ত্বার বিষয়টি জানান। এরই ভিত্তিতে কয়েকটি পেইজে তা প্রচার করে। ফলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দ্রুত ছড়িয়ে পড়লে সমালোচনার ঝড় উঠে।এ সুযোগে ফাতিমা খাতুন বিয়ের প্রস্তাব করেন। বিয়ে না করলে হয়রানী, টানাহেঁচড়া, থানা, কোর্ট করে এর শেষ দেখে ছাড়বে বলে ফেসবুকে প্রচার করতে থাকে।

কয়েকদিন পূর্বেই এসব বন্ধের জন্য ফাতিমার বাবার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি আশ্বাস দিয়ে বলেন আর কোন পোষ্ট যেন না দেয় তার জন্য তাকে কড়াভাবে বলে দিচ্ছি। কিন্তু একদিন পরেই আবার ষ্টোরীতে উল্লেখ করে – রাজি না হলে চাঁপাই চিত্রে সব ছেড়ে দিব। বাটনে চাপ দিলেই আপনি শেষ।
অধ্যক্ষ বরাবর যে অভিযোগটি করেছে সেটিতে হুমকি দেয়ার কথা উল্লেখ থাকলেও বাস্তবের সাথে কোন মিল নেয়।ঐ কলেজ ছাত্রীকে ২০২২ সালে জোরপূর্বক ধর্ষণ ও হুমকি দেওয়ার কথা বললেও ২০২৩,২০২৪ সালে ঐ ছাত্রী এবং শিক্ষককে স্বাভাবিকভাবেই চলাফেরা করতে দেখা গেছে।

ঐ ছাত্রীর বন্ধুবান্ধব জানায়, ২০২৪ সালেও তাদের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর সুসম্পর্ক ছিল এবং কলেজের বিভিন্ন প্রোগ্রামে তাদেরকে স্বাভাবিক
ভাবেই দেখা গেছে। কিন্তু ছাত্রীর সম্প্রতি দেওয়া অভিযোগ পত্রে ভয়ভীতির অভিযোগ করছেন কিন্তু
ঐ ছাত্রীর ব্যবহারে ভীতির কোনরূপ ছাপ পরিলক্ষিত হয়নি।

কলেজ শিক্ষকের দাবি আমার মান সম্মান নষ্ট, হয়রানি ও প্রশ্নবিদ্ধ করতে যে অবিরত মিথ্যাচার চলছে তা বন্ধ করতে হবে।

কলেজ শিক্ষক আরো দাবি জানান, তিনি বলেন প্রথমে ওই ছাত্রী অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার কথাটি প্রচার করলেও এখন তা অস্বীকার করছেন।এই বিষয়টিতে বুঝা যায় যে, আমার মান সম্মান নষ্ট করতে এবং আমার সাফল্যে ইর্ষাম্বিত হয়েই কোন স্বার্থান্বেষী মহল আমাকে ফাঁদে ফেলার চেষ্টা করছে। আর এই মেয়েকে ফাঁদ হিসাবে ব্যবহার করছে। আমি এর সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার প্রত্যাশা করছি। সর্বশেষে যে কথাটি বলেন তিনি,তার একুশ বছরের চাকুরী জীবনে এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি এমনকি এই বিষয়ে কখনোই কোন আলোচনা ও হয়নি।

এরকম তথ্য রটানোতে বিব্রত বোধ করছি, এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাই। এই নোংরা জঘন্যতম অপপ্রচারের সাথে যারা জড়িত তাদের শীঘ্রই শাস্তির দাবি করছি।

সম্পর্কিত