সহিজল ইসলাম, রাজীবপুর(কুড়িগ্রাম)প্রতিনিধি
নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমন রোধে গত ২৬ তারিখ থেকে দেশে প্রায় সবকিছু বন্ধের সরকারি নির্দেশনা রয়েছে।প্রথম কয়েক দিন মানুষ নিয়ম মানলেও পরবর্তীতে আবারও স্বাভাবিক চলাফেরা শুরু করেছে। এতে বিপাকে পড়েছে রাজীবপুর উপজেলার স্থানীয় প্রশাসন।
জনসমাগম প্রতিরোধ, সামাজিক নিরাপত্তা সহ সরকারী নানা বিধি গুলো প্রচার করলেও জনসাধাররণের অসহযোগীতার কারনে আইনপ্রয়োগকারী সংস্থারা সদস্যরা বাস্তবায়নে সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে ।প্রশাসন কঠের অবস্থানে গেলে নানা নেতিবাচক সমালোচনা হয় এজন্য কিছুটা নমনীয়তা দেখানো হচ্ছে। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে গা-ছাড়া ভাবে চলাফেরা করছে স্থানীয় মানুষ।
রাজীবপুর উপজেলা শহরে সাপ্তাহিক ৩দিন হাট বসে। সরকারি নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর গত শনিবার (২৮ মার্চ) হাটে লোকসমাগম কম ছিল।গত মঙ্গলবার(৩১ মার্চ) দৃশ্য কিছুটা বদলল যায় বিকেলবেলা হটে উপছে পড়া ভিড় ছিল সামাজিক দূরত্ব রক্ষা করছিল না কেউই।বৃহষ্পতিবার(২ এপ্রিল)সকালের দিকে পুলিশ অভিযানে বাজারে সাময়িক জনশূন্যতা তৈরী হলেও বিকেলে বাজারে ভির বেড়েছিল মানুষের।
হাঁটে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনতে আসা মদনের চর গ্রামের বাদশা মিয়ার সাথে করোনা ভাইরাসের বিষয়ে কথা হলে তিনি বলেন,এসব ভাইরাস আমাগোর হবো না।যে পরিশ্রম করি সারাদিন রৌদ্রে ভাইরাস কাছেই আসপো না।টাঙ্গালিয়াপাড়া গ্রামের আছমত আলী বাজার এসেছেন তরিতরকারি কিনতে । নাকে মাস্ক নেই কেন জিজ্ঞাসা করতেই উত্তর দিল দম বন্ধ হইয়া আসে মাস্ক দিলে তাই দেই নাই। বেলাল হোসেন নামের আরেক ক্রেতা সাথে মাছের বাজারে কথা হয় করোনা ভাইরাসের ঝুঁকি কমাতে সরকারী নিয়ম গুলো মানার ব্যাপারে প্রশ্ন করতেই তিনি জানান আল্লাহ রক্ষা করবে তিনি যদি চান রোগ হবে না হলে হবে না।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করণ ও সতর্কতা অবলম্বনের বিষয়ে উপজেলা বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের সাথে কথা বলে বোঝা গেছে কমসংখ্যক মানুষই এ ব্যাপারে সচেতন।বেশিরভাগ মানুষ বিষয়টি নিয়ে যথাযথ সতর্ক নয়।অনেকেই ধর্মের দোহাই দিয়ে বলছেন আল্লাহ চাইলে মৃত্যু অবশ্যই হবে কোন সতর্কতায় কাজ হবে না ।
উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আজ শুক্রবার(৩এপ্রিল) করোনাভাইরাস প্রতিরোধে বিভিন্ন মসজিদে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা প্রদত্ব নিয়মাবলি গুলো মেনে চলার জন্য মুসল্লিদের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়।
রাজীবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃমেহেদী হাসান বলেন, প্রশাসন থেকে করোনা প্রতিরোধে সচেতনতা মূলক নানা কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। সকলকে সহযোগিতা করতে হবে এই প্রতিকূল পরিস্থিতিতে। জনসাধরণের উদ্দেশ্য তিনি বলেন প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাহির হবেন না।দিন মজুর ও শ্রমজীবী মানুষের মাঝে বিনামূল্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য বিতরণ করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।