সহিজল ইসলাম,রাজীবপুর(কুড়িগ্রাম)প্রতিনিধি:
করোনা ভাইরাসের বিস্তার রোধে দেশ জুরে চলছে লকডাউন।এতে বিপাকে পড়েছে রাজীবপুর ও রৌমারী উপজেলার প্রায় ৩০ হাজার শ্রমজীবি মানুষ।
আজ রবিবার রাজীবপুর উপজেলা শহর ও আশেপাশের এলাকায় ঘুরে দেখে গেছে শ্রমজীবি মানুষের চোখেমুখে বিষন্নতার ছাপ। অটোরিকশা ও ভ্যান চালক’রা ঝুঁকি নিয়েই রোজগারের আশায় ঘর থেকে বের হয়েছেন। কিন্তু যানবাহনে চড়ার মত যাত্রী নেই। অলস বসে আছে তারা।
পোস্ট অফিস সড়কে কথা হয় মরিচাকান্দি গ্রামের ভ্যান চালক, আমির উদ্দিনর(৫৬) সাথে।সবকিছু বন্ধ তবুও ঘর থেকে বের হয়েছেন কেন জানতে চাইলে তিনি বলেন,’পেট তো আর এসব বোঝে না’বাড়িতে ৫ জন সদস্য মাত্র ৩০ টেকা ইনকাম করছি খুব কষ্টে আছি কি দিয়া বাজার করমু পরিবার কেমনে চালামু এই চিন্তায় ।
উপজেলার নৌকা ঘাটে কুলির কাজ করে শাহাজামাল (৫০)। নৌ চলাচল বন্ধ থাকায় কর্ম হীন হয়ে পড়েছেন তার মত আরও ১০ জন।কি ভাবে পারিবারিক খরচ যোগাচ্ছেন জানতে চাইলে শাহজামাল বলেন,কিছু জমানো টাকা ছিল এছাড়াও ধারদেনা করেই খরচ চালাচ্ছি।
রাজীবপুর উপজেলা শহর সংলগ্ন কাচারীপাড়া গ্রামের ভ্যান চালক তারা মিয়ার(২৮) সাথে কথা বলে জানা গেছে,সকাল থেকে দুপুর একটা পর্যন্ত তার এক টাকাও আয় হয় নি। পরিবারে ৪ জন সদস্য।পুলিশ মাঝেমধ্যে হুইসেল বাজিয়ে টহল দেয় তখন আড়ালে পালিয়ে থাকতে হয় বলেও জানায় সে।
কর্মহীন হয়ে যাওয়া এসব শ্রমজীবি ও দিনমজুর মানুষের বিষয়ে জানতে চাইলে রাজীবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃমেহেদী হাসান বলেন, আমাদের কাছে ১.৩ মেট্রিকটন চাল ও ৪০ হাজার টাকা বরাদ্দ এসেছে। চাল প্যাকেটজাত করে দিনমজুর ও শ্রমজীবি পরিবার গুলোর বাড়িতে গিয়ে দিয়ে আসা হবে।
রৌমারী উপজেলার শ্রমজীবি মানুষের জন্য সরকারী সহায়তার বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল ইমরান বলেন, রৌমারী উপজেলার জন্য ২.৬ মেট্রিক টন চাল ও ৭৮ হাজার টাকা বরাদ্দ পাওয়া গেছে তালিকা তৈরি করা হচ্ছে বিতরণের জন্য।