নিজস্ব প্রতিবেদক: ঐক্যবদ্ধ সাংবাদিক তৈরির কারিগর ছিলেন রুহুল আমিন গাজী। তিনি ছিলেন সৎ নির্ভীক ও সাহসী সাংবাদিকতার প্রতীক। সাংবাদিকতা জীবনে তিনি কোন অপশক্তির কাছে মাথা নত করেনি। সাহসী সাংবাদিকতা চর্চায় তার অবস্থান ধরে রাখায় সাংবাদিকদের কাছে আদর্শ ছিলেন তিনি।
মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) সন্ধ্যায় রংপুরে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন -বিএফইউজের প্রয়াত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা রুহুল আমিন গাজীর স্মরণে শোকসভায় সাংবাদিকেরা এসব কথা বলেন। তার স্মৃতিচারণ করে আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েন সাংবাদিকেরা।
এ সময় রংপুর সাংবাদিক ইউনিয়ন-আরপিইউজের সভাপতি আলহাজ্ব সালেকুজ্জামান সালেক বলেন,বরেণ্য সাংবাদিক রুহুল আমিন গাজী জাতিকে বহু সেবা দিয়েছেন। তিনি সংবাদকর্মীদের অধিকার আদায়ের জন্য জন্য কাজ করেছেন এবং এখনও করছেন। তিনি যোগ্যতার সাথে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। সাংবাদিকদের অধিকার আদায়ে তার কোন বিকল্প ছিলনা। ফ্যাসিস্ট সরকারের অন্যায়ের বিরোধিতা করে কারাবরণ করতে হয়েছে বরেণ্য এই সাংবাদিককে।তবুও তিনি অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে পিছপা হননি।
আরপিইউজের সাধারণ সম্পাদক সরকার মাজহারুল মান্নান বলেন, রুহুল আমিন গাজী মানুষ হিসেবে সজ্জন ছিলেন। এবং আপাদমস্তক একজন সাংবাদিক হিসেবে সবসময় সত্যের পক্ষে কথা বলার সাহস যুগিয়েছেন তিনি। সাংবাদিকদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার যে নির্দেশনা দিয়েছেন আমরা তা লালন করি। গাজী ভাইয়ের আদর্শ ও তার দেখানো পথে সাংবাদিকদের চলার আহ্বান জানান তিনি।
স্মরণ সভায় সভাপতিত্ব করেন রংপুর সাংবাদিক ইউনিয়ন আরপিইউজের সভাপতি আলহাজ্ব সালেকুজ্জামান সালেক। সাধারণ সম্পাদক সরকার মাজহারুল মান্নানের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন আরপিইউজের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম মানিক, কোষাধক্ষ মমিনুল ইসলাম রিপন, দপ্তর সম্পাদক হারুন অর রশিদ সোহেল, প্রচার সম্পাদক রেজওয়ান রনি, সাংস্কৃতিক সম্পাদক নুর হাসান চান, পাঠাগার ও প্রকাশনা সম্পদক সাহানুর রহমান, কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য কামরুই ইসলাম চুন্ন, হুমায়ুন কবির মানিক, সদস্য মেজবাহুল হিমেল।
এসময় আরও বক্তব্য রাখেন কালের কন্ঠের সিনিয়র রিপোর্টার রফিকুল ইসলাম, সিএনবির চেয়ারম্যান মিঞা মোহাম্মদ সুজন, রংপুর রিপোর্টার্স ক্লাবের সদস্য আব্দুল রহমান রাসেল প্রমুখ।