নাসিফ খান, সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধিঃ আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন বক্তা,ইসলামী চিন্তাবিদ,কথার যাদুকর, আলহাজ মাওলানা রেজাউল করিম কাওছারী না ফেরার দেশে চলে গেছেন । বুধবার রাত ১টার দিকে তিনি সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে উপজেলার গাছ চাপরী জামে মসজিদে ইসলামী জালছায় ওয়াজ মাহফিলের সময় অসুস্থ হয়ে পড়েন। এসময় তাকে দ্রুত খাজা এনায়েতপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে হৃদযন্ত্রের ক্রীয়া বন্ধ হয়ে মারা যান। রেজাউল করীম কাওছারী সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার কয়ড়া সড়াতলা গ্রামের মৃত আখেজ উদ্দিন খদগীরের পুত্র।
একজন সুবক্তা, কথার ফুলঝুরি, ছন্দ মিলিয়ে ওয়াজ করতেন, বিমোহিত করে রাখতেন প্যান্ডেল ভর্তি মুসুল্লিদের। সারা বছর ইসলামী জালসায় প্রধান বক্তা হিসেবে বুকিং থাকতো ।তাকে দ্বারা কোনো মসজিদের ইসলামী জালসায় ওয়াজ-মাহফিল করাতে চাইলে এক থেকে দের বছর আগে অগ্রীম বুকিং দিতে হতো। জনপ্রিয় এই ইসলামী বক্তা উল্লাপাড়ার পশ্চিম বামনগ্রাম দাখিল মাদ্রাসার সুপার হিসাবে কর্মরত ছিলেন। মাদ্রাসা শিক্ষকতার পাশাপাশি তিনি সারা দেশে ইসলামী জালছায় সু-মধুর কন্ঠে ওয়াজ মাহফিল করতেন। অল্পদিনে তিনি ইসলামী জালছায় ওয়াজ মাহফিল করে খ্যাতি ও জনপ্রিয়তা অর্জন করেন । সে অল্প সময়ের মধ্যে দেশের মানুষের কাছে রেজাউল করিম থেকে মাওলানা রেজাউল করিম কাওছারীতে পরিনত হয়। ইসলামী যুক্তি তর্ক আর ছন্দের মাধ্যমে ইসলামী জালছায় ওয়াজ মাহফিল করে তিনি দেশের মানুষের কাছে ব্যাপক পরিচিতি ও ভালবাসা অর্জন করেন। সারা দেশে ইসলামী জালসার ওয়াজ মাহফিলের অডিও,ভিডিও মাধ্যমে তার বয়ান ছড়িয়ে রয়েছে । এ জন্য তিনি মানুষের কাছে এক নামে পরিচিত ছিলেন।
সদা হাস্যউজ্জল এই মানুষটি সহজেই যে কাউকে আপন করে নিতেন। মৃত্যু কালে তিনি স্ত্রী, ২ছেলে, ২মেয়ে রেখে গেছেন। জনপ্রিয় এই মাওলানার মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। বুধবার বাদ যোহর উল্লাপাড়া উপজেলার কয়ড়া ফাজিল সিনিয়র মাদ্রাসা মাঠে তার জানাযা নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। এতে হাজার হাজার মুসুল্লি এবং তার ভক্তরা অংশ নেন। পরে তাকে গ্রামের বাড়ি কয়ড়া সরাতলা কবরস্থানে দাফন করা হয়।