শাহিনুল ইসলাম লিটনঃ
কুড়িগ্রাম জেলার উলিপুর উপজেলার বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অবস্থিত উলিপুর মদিনাতুল উলুম দাখিল মাদরাসার সরকারী বই বিক্রির অভিযোগে উলিপুর মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের কর্মচারী (নৈশ প্রহরী) শহিদুল ইসলাম অভিযুক্ত হয়েছেন এবং অভিযোগের সত্যতা প্রমানিত হয়েছে।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে, উলিপুর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) জনাব সোহেল সুলতান জুলকার নাইন কবির ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন।এ সময় বই সরবরাহকারী (পাইকার) আ: জলিলকে হাতেনাতে ধরা হয় এবং ১৬ বস্তা বই জব্দ করা হয়। তিনি বলেন, আমি বইগুলো উলিপুর মদিনাতুল উলুম দাখিল মাদরাসা হতে ক্রয় করেছি। তিনি আরো বলেন, আমি এর আগেও শহিদুল ইসলামের কাছ থেকে ৫-৬ মন বই কিনেছি।আজ সকালে প্রতি বস্তা বই ৫৫০ টাকা দ্বরে মোট ৯০০০ টাকার বই কিনি।তিনি যে দোকানে বই সরবরাহ করতেন সেই দোকানটি সিলগালা করা হয়েছে।
তার তথ্যের ভিত্তিতে উলিপুর মদিনাতুল উলুম দাখিল মাদরাসায় ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করলে, সকল তথ্যের সত্যতা প্রমানিত হয় এবং পাইকার আ: জলিলের জরিমানা করে জরিমানার টাকা সরকারী কোষাগারে জমা দেওয়া হয়। এর সাথে উক্ত মাদরাসার কেউ জরিত নেই। মাদরাসার একজন শিক্ষকের সাথে কথা বললে তিনি জানান, স্টোর রুমের চাবি শুধুমাত্র উলিপুর মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের কর্মচারী (নৈশ প্রহরী) শহিদুল ইসলামের কাছেই থাকে।তিনিই আজ বই বিক্রি করেছেন।
এ বিষয়ে উলিপুর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) জনাব সোহেল সুলতান জুলকার নাইন কবির উপজেলা মাধ্যমিক অফিসার জনাব আ: রব কে ফোন দিলে তিনি উক্ত মাদরাসায় উপস্থিত হয়ে এসে বিষয়টি সরেজমিনে বিবেচনা করেন এবং পরবর্তিতে ফোনে কথা বললে তিনি জানান, ঘটনাটি অত্যন্ত লজ্জাজনক। কর্মচারী শফিকুল ইসলামের নামে একটি নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়েছে।