নিউজ ডেক্স
কুড়িগ্রাম জেলার উলিপুর উপজেলাধীন দুর্গাপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিতব্য এসএসসি পরীক্ষায় (০৯/০২/২০২০ ইং তারিখের ইংরেজী ২য় পত্র পরীক্ষায়) বাইরে হতে নকল গ্রহণ করায় রাজ কুমার, শাহ্ আলম ও রেজাউল করিম নামক তিন ছাত্রকে বহিষ্কার করেছেন দায়িত্বরত উপজেলা পল্লী উন্নয়ন অফিসার।
এছাড়াও নকল সরবরাহকারীকে নকল সরবরাহ করায় দুইটি মোবাইল ফোনসহ আটক করেছে দায়িত্বরত পুলিশ কর্মকর্তা। আটককৃত ব্যক্তি মো: আশরাফুল হক উলিপুর উপজেলার উত্তর পান্ডুল মোল্লাপাড়ার আ: বাতেনের পুত্র। মোবাইল ফোন দুটি উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) জনাব সোহেল সুলতান জুলকার নাইন কবিরের তত্ত্বাবধানে রয়েছে।
আটক হওয়ার পর অভিযুক্ত যুবক জানায়, আমাকে রাজু স্যার মোবাইল ফোন দিয়ে হলের পিছনে গিয়ে প্রশ্নপত্রের ছবি তুলে আনতে বলেন। বহিষ্কৃত শিক্ষার্থী তিনজন জানায় আমরা রাজু স্যারের কাছে প্রাইভেট পড়ি। আমাদের প্রত্যেকের কাছে ৭০০ টাকা নিয়েছে পরীক্ষায় সাহায্য করার কথা বলে। এর আগের পরীক্ষা গুলোতে আমাদের সাহায্য করেছেন।
পরীক্ষা শেষে অন্যান্য শিক্ষার্থীর সাথে কথা বললে তারা জানায়, প্রতি পরীক্ষায় রাজু স্যার নকল সরবরাহ করেন। তার কাছে যারা প্রাইভেট পড়ে তাদের দেয়।
উল্লেখ্য যে, রাজু আহমেদ জামতলা উচ্চ বিদ্যালয়ের একজন কেরানী। তবে সবাইকে তিনি বলেন আমি একজন শিক্ষক। সংবাদ নিয়ে জানা যায় তিনি নিয়মিত বিদ্যালয়ে উপস্থিত থাকেন না।সে সময়ে তিনি বাড়িতে কোচিং সেন্টার পরিচালনা করে থাকেন এবং জেএসসি ও এসএসসি পরীক্ষার সময় শিক্ষার্থীর কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়ে পরীক্ষার হলে নকল সরবরাহ করে থাকেন।
কয়েকজন অভিভাবকের সাথে কথা বললে তারা জানান, রাজু বাচ্চাদের মেধাশূণ্য করে দিচ্ছে। পড়ালেখা না করিয়ে শিক্ষা দিচ্ছে চুরি বিদ্যার। এর একটা সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন অভিভাবকগণ।
এ বিষয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) জনাব সোহেল সুলতান জুলকার নাইন কবিরের (দায়িত্বরত নির্বাহী মেজিস্ট্রেট) সাথে কথা বললে তিনি বলেন, আমি পরীক্ষার সেন্টারে গিয়েছি। পরীক্ষার পরিবেশ সুষ্ঠুকরনে আমরা প্রশাসনিকভাবে সকল প্রকার নিরাপত্তা জোরদার করেছি। তবে দুর্গার সেন্টার একটি ঝুঁকিপূর্ণ সেন্টার।কেউ অসদুপায় অবলম্বন করলেই আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।