পঞ্চগড় প্রতিনিধিঃউত্তর বঙ্গের চা শিল্পের সমস্যা ও সম্ভাবনা শীর্ষক আলোচনা সভা আজ সোমবার ১৯ ফেব্রুয়ারী মকবুলার রহমান সরকারি কলেজের অর্থনীতি বিভাগের উর্দ্যোগে আঞ্চলিক পর্যায়ে এই সেমিনার আয়োজন করে।
এসময় রেজাউল করিমের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রফেসর দেলোয়ার হোসেন সরকার তিনি বলেন যে চা শিল্প উত্তরের জেলা ‘পঞ্চগড়ে উঁকি দেওয়া অর্থনীতিএখন ঝিমিয়ে যাচ্ছে” এই অবস্থায় এধরণের সেমিনার আয়োজন স্বগত জানান সেই সাথে চা শিল্প যে সবুজের মনোরম পরিবেশে সৃষ্টি হয়েছে তাকে পর্যটন শিল্পে কাজে লাগাতে পারলে হয়তো একটি সম্ভাবনার দ্বার উমোচিত হতে পারে।
মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন আঞ্চলিক পর্যায়ের চা বোর্ডের উন্নায়ন কর্মকর্তা ও ইনচার্জ জনাব আমির হেসেন এসময় তিনি বলেন। সমতলের অর্গানিক চা দেশের বিদেশে রয়েছেন ব্যাপক চাহিদা। নিলাম চা মূল্য ১৩০. টাকা কাঁচা চা পাতা নির্ধারিত ১৮.০০ টাকা, কিন্তু বিভিন্ন কারনে সেই দাম পাচ্ছে না কৃষক পর্যায়ে।
৩০,০০০০ হাজার লোকের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে।
১ ২১৩২ একর জমিতে চা চাষ হচ্ছে।চা এর চোরা চালান রোধ করতে হবে। চা বোর্ড কাজ করে যাচ্ছে।
মূখ্য আলোক শামসুল মুক্তাদির চা চাষের ইতিহাস তুলে ধরেন দীর্ঘ প্রচেষ্টার মধ্যেমে চা বাগান তৈরি করতে সক্ষম হয়। কিন্তু সময়ের ব্যাবধানে চা পাতার মূল্য কমতে থাকায় সাধারণ কৃষক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। এ সময় তিনি আরো বলেন চা পাতার দাম কর্তন ও কারখানা মালিক যেন বাকিতে চা ক্রয় না করা হয়। তার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে এগিয়ে আসতে হবে।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত বিভাগীয় প্রধান হাসনুর রশিদ বাবু (পঞ্চগড় সরকারি মহিলা কলেজের অর্থনীতি বিভাগের সাবেক বিভাগীয় প্রধান) এসময় তিনি বলেন চা শিল্পের যে দুরূহ অবস্থা চলছে সময়ের ব্যাবধানে এই অবস্থার পরিবর্তন হবে।
চা বাগান মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মানিক মিয়া তিনি বলেন চা সিন্ডিকেটের কারনে চা চাষিরা
সর্বসান্ত হয়ে পড়েছে, দ্রুত এর সমস্যার সমাধান করতে হবে । কৃষকে চা ন্যার্য দাম দিতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে রেজাউল হক সুমন বলেন
অর্থনীতি বিভাগের আজকের এই সেমিনার এই অঞ্চলের চা সমস্যা সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
হিমালয়ের কন্যাকে খ্যাত সবুজ শ্যামলে ঘেরা দেশের সর্বোত্তরের জেলা পঞ্চগড় চাষ শুরু হয় ২০০০ সালের ২ এপ্রিল ব্যাপক উদ্যোগ উদ্দীপনা সাথে শুরু হলেও আজ চা শিল্প সিন্ডিকেটের কাছে অসহায়।
সেমিনারে আরো উপস্থিত ছিলেন মাহমুদুল হাসান,এহতেশামুল হক, রমজান আলী, আজাদ নূর আশীষ কুমার প্রমুখ