তাহসিন মেহেরাব শাওন,ঈদগাঁওঃগত শনিবার ২৫ নভেম্বর ২০২৩ ইংরেজি তারিখে কক্সবাজারের স্থানীয় দৈনিক কক্সবাজার সংবাদ পত্রিকায়
মোটা অংকের অর্থে বিদুৎ মিটার পাচ্ছে ভূমিদস্যু- হত্যা হচ্ছে বন্য প্রাণী শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত পরপরই অভিযান চালিয়ে বরই বাগান উচ্ছেদ করা হয়েছে।
রবিবার ২৬ নভেম্বর সকালে কক্সবাজার উত্তর বন বিভাগের আওতাধীন ঈদগাঁও রেঞ্জের ভোমরিয়া ঘোনা বিট শিয়া পাড়া এলাকায় এঅভিযান পরিচালনা করা হয়।
গত ২৪ নভেম্বর রাতে কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলায় ঈদগাঁও ইউনিয়নের শিয়া পাড়া এলাকায় নজির আহমেদের ছেলে জলিল নামের এক যুবক বিভিন্ন পশুপাখি, বন্যপ্রাণী ও মানুষের চুরির হাত থেকে বাউকুল বাঁচাতে বাগানের চারপাশে জিআই তার দিয়ে অবৈধভাবে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয়েছিল। চেয়ারম্যানের খামারের পাশের খেত থেকে ধান খেয়ে ওই ঝিরিপথ দিয়ে বনে ফিরে যাওয়ার পথে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে পড়ে যায় বন্যহাতিটি। ফজরের আজানের আগে থেকে ঘণ্টা দুয়েক হাতিটি বাঁচার আকুতিতে চিৎকার করছিল। চিৎকার শুনলেও কেউ ভয়ে বের হননি। তবে সেই তারের সংযোগটি খুলে ফেললে হয়তো হাতিটি বেঁচে যেত। সকালে বনবিভাগের লোকজন জলিলের বাড়ি থেকে জিআই তারসহ বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম জব্দ করে।
স্থানীয়রা জানান,কক্সবাজার উত্তর বন বিভাগের ঈদগাঁও রেঞ্জের ভোমরিয়া ঘোনা বিটের জমি দখল করে পাকা ঘরবাড়ি নির্মাণের প্রতিযোগিতা চলছে।একটি প্রভাবশালী মহল ও স্থানীয় কতিপয় দালার তদবির কারকদের প্রত্যক্ষ বনের জমিতে দিনে রাতে দখল প্রতিযোগিতায় মাঠে নেমেছে ওই অসাধু মহলটি।এছাড়াও ঘণ্টা দুয়েক হাতিটি বাঁচার আকুতিতে চিৎকার করছিল। চিৎকার শুনলেও কেউ ভয়ে বের হননি। তবে সেই তারের সংযোগটি খুলে ফেললে হয়তো হাতিটি বেঁচে যেত।ঘটনার পর থেকে সেই জলিল পালাতক রয়েছে।
বন বিভাগ সুত্রে জানা যায়,কক্সবাজার উত্তর বন বিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন সরকারের নির্দেশনায় ঈদগাঁও রেঞ্জার আনোয়ার হোসেন খানের নের্তৃত্বে ভোমরিয়াঘোনা বিট কর্মকর্তা, রেঞ্জের স্টাফ, ভিলেজার ও সিপিজি সদস্যরা বর্ণিত এলাকার জলিলের অবৈধ স্থাপনায় অভিযান পরিচালনা করে অবৈধভাবে নির্মিত টিনের বাড়ী ও বরই বাগান উচ্ছেদ করে বনভূমির প্রায় ৮০ শতক জায়গা অবৈধ দখলদারদের কাছ থেকে দখলমুক্ত করা হয়।
অভিযান পরিচালনা কারী ভোমরিয়া ঘোনা বিট কর্মকর্তা মমিনুর রহমান অভিযানের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বনবিভাগের জায়গায় অবৈধভাবে নির্মিত টিনের বাড়ী ও জলিলের বরই বাগান উচ্ছেদ করে বনভূমির জায়গা অবৈধ দখলদারদের কাছ থেকে দখলমুক্ত করা হয়।অবৈধ দখল থেকে বনের জমি উদ্ধারে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
ডুলাহাজারা সাফারি পার্কের ভেটেনারি চিকিৎসকসহ একটি টিম হাতিটির ময়নাতদন্ত করেছে। ঘটনার পর হতে জলিল পলাতক। সামাজিক বনায়নের গাছ কাটা ও বৈদ্যুতিক তারের বিষয়ে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। এছাড়াও ময়নাতদন্ত রিপোর্টে প্রমাণ পাওয়া গেলে হাতি হত্যা মামলা করা হবে জানিয়েছেন ঈদগাঁও রেঞ্জ কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন খাঁন।
ঈদগাঁওয়ের বন ও বন্য প্রাণী রক্ষায় উচ্ছেদ অভিযান অব্যাহত রাখতে কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন স্থানীয় এলাকাবাসীরা।