বিশ্ব ডেস্ক: ইসরায়েলে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলার পাঁচদিনের মধ্যে এবার লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর ছোঁড়া ড্রোন বিস্ফোরিত হয়ে ১৮ জন আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে ১৪ জন সেনাসদস্য ও চার বেসামরিক নাগরিক রয়েছেন বলে জানা গেছে।
বুধবার (১৭ এপ্রিল) দেশটির উত্তর সীমান্তের আরব আল–আরামশি গ্রামে একটি কমিউনিটি সেন্টারের ওপর ড্রোনটি বিস্ফোরিত হয় বলে ‘টাইমস অব ইসরায়েল’ এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে।
হামলায় আহত ব্যক্তিদের মধ্যে একজন গুরুতর অবস্থায় আছেন এবং আরও দুজনের অবস্থাও শঙ্কামুক্ত নয় বলে ‘গালিলি’ নামের স্থানীয় একটি মেডিকেল সেন্টার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
এই হামলার দায় স্বীকার করেছে হিজবুল্লাহ। তারা বলেছে, ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর ব্যবহৃত একটি ভবন লক্ষ্য করে তারা এ হামলা চালিয়েছে। হামলায় ক্ষেপণাস্ত্র ও বিস্ফোরকভর্তি ড্রোন ব্যবহার করা হয়েছে। এক দিন আগে লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলে ইসরায়েলি হামলায় সংগঠনটির দুই কমান্ডারসহ তিন সদস্য নিহত হওয়ার ঘটনার প্রতিশোধ হিসেবে এ হামলা পরিচালিত হয়েছে বলে হিজবুল্লাহ জানিয়েছে।
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) সীমান্তের বসতিতে বেশ কয়েকটি হামলা হওয়ার কথা জানালেও হামলায় কারও হতাহত হওয়ার বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে তারা কোনো তথ্য দেয়নি। সংবাদমাধ্যমটির খবরে বলা হয়েছে যে আক্রান্ত কমিউনিটি সেন্টারের কাছে একটি গাড়িতেও হামলা হয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও ক্লিপে দেখা গেছে, বিস্ফোরকবাহী ড্রোন কমিউনিটি সেন্টারটির ওপর পড়ে বিস্ফোরিত হয়েছে।
এদিকে এ হামলা শুরুর প্রাক্কালে এলাকাটিতে কোনোরূপ সতর্কতামূলক সাইরেন বেজে উঠতে দেখা যায়নি। হামলার আগে অ্যালার্ম সক্রিয় না হওয়ার বিষয়টি খতিয়ে দেখতে তদন্ত করছে দেশটির গোয়েন্দা সংস্থা ও প্রতিরক্ষা বাহিনী।
প্রসঙ্গত, ইসরায়েল ফিলিস্তিনের গাজায় হামলা চালানো শুরু করার পর থেকে গত ছয় মাস ধরে ইসরায়েল সীমান্তে হামলা চালিয়ে আসছে হিজবুল্লাহ। লেবানন সীমান্ত থেকে থেকে কখনও তারা রকেট, কখনও ড্রোন আবার কখনও ট্যাংকবিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করছে। গাজাবাসীর প্রতি সংহতি জানিয়ে এসব হামলা চালানো হয় বলে জানিয়ে আসছে হিজবুল্লাহ।