শনিবার, ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২১শে মহর্‌রম, ১৪৪৬ হিজরি
শনিবার, ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২১শে মহর্‌রম, ১৪৪৬ হিজরি

ইসরায়েলি ভূখণ্ডে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা ইরানের

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মধ্যপ্রাচ্যে চলমান গাজা যুদ্ধের মধ্যে সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইরানি কনস্যুলেটে হামলার জবাবে ইসরায়েলি ভূখণ্ড লক্ষ্য করে বেশকিছু ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়েছে ইরানের বিপ্লবী গার্ডস কর্পস (আইআরজিসি)। শনিবার গ্রিনিচ মান সময় রাত আটটার দিকে এ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু করে ইরান। ইসরায়েলি ভূখণ্ড লক্ষ্য করে এটিই ইরানের প্রথম কোনো সরাসরি হামলা। খবর আল-জাজিরার।

আল-জাজিরার প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, শনিবার তেল আবিব, পশ্চিম জেরুজালেমসহ ইসরায়েলজুড়ে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। দেশটির ৭২০টির বেশি স্থানে বিমান হামলাজনিত সতর্ক সংকেত বাজতে শোনা গেছে। ইসরায়েলি বাহিনীও ইরানি ক্ষেপণাস্ত্রগুলো ভূপাতিত করার চেষ্টা করেছে।

পরে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানায়, ইরান ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে দুই শতাধিক কিলার ড্রোন, ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র এবং ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়েছিল। এর মধ্যে বেশিরভাগ ক্ষেপণাস্ত্রই যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটিশ বাহিনীর সহযোগিতায় সীমান্তের বাইরে থাকতেই প্রতিহত করা হয়েছে। এ সময় ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলের একটি ঘাঁটিসহ আরও কয়েকটি জায়গায় হামলা চালাতে সক্ষম হয়েছে ইরান। এতে সেখানকার অবকাঠামোগুলো সামান্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে ইসরায়েলি বাহিনী জানিয়েছে।

ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাগারি বলেন, হামলায় এক কন্যা শিশু আহত হয়েছে। তবে এ ঘটনায় কোনো প্রাণহানির খবর পাওয়া যায়নি।

বোমা হামলা থেকে বাঁচতে নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্রগুলোর কাছাকাছি থাকার জন্য স্থানীয়দের নির্দেশ দিয়েছিল ইসরায়েলের হোম ফ্রন্ট কমান্ড। তবে শনিবার আন্তর্জাতিক সময় দিবাগত রাত ১২টার দিকে সে আদেশ প্রত্যাহার করা হয়।

হামলা চালানোর পর জাতিসংঘে ইরানের মিশন বলেছে সিরিয়ায় ইরানি কনস্যুলেটে ইসরায়েলের অভিযানের জবাব দেওয়া শেষ হয়েছে বলে মনে করছে তারা। ইসরায়েল সরকার যদি আবারও ভুল করে, তবে আরও কঠোরভাবে জবাব দেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ার করেছে ইরান।

ইসরায়েলের অনুরোধে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ আজ জরুরি বৈঠক করবে। যুক্তরাষ্ট্রের সময় বিকেল চারটার দিকে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। ইরাক, জর্ডান, লেবানন ও ইসরায়েল সাময়িকভাবে তাদের আকাশসীমা বন্ধ করে রেখেছে। পাশাপাশি কয়েকটি বিমান সংস্থাও ওই অঞ্চলে ফ্লাইট চলাচল স্থগিত করেছে।

ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) মুখপাত্র রিয়াল অ্যাডমিরাল ড্যানিয়েল হাগারি টেলিভিশনে দেওয়া এক বক্তব্যে বলেন, ইরান দুই শতাধিক কিলার ড্রোন, ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র এবং ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের ‘বিশাল ঝাঁক’ পাঠিয়েছে। তবে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষাব্যবস্থা এবং আঞ্চলিক মিত্ররা বড় সংখ্যক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন প্রতিহত করেছে। এ সময় তিনি অধিকাংশ ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন ইসরায়েলি ভূখণ্ডে পৌঁছানোর আগেই ধ্বংস করা হয়েছে বলে দাবি করেন।

উল্লেখ্য, গত ১ এপ্রিল সিরিয়ার দামেস্কের ইরানি কনস্যুলেটে ইসরায়েল হামলা চালালে ইরানি বিপ্লবী গার্ডের এক কমান্ডারসহ আটজন প্রাণ হারান।

সম্পর্কিত

মাত্রই প্রকাশিত