মোঃ আমিরুল হক, রাজবাড়ীঃ
” শিক্ষাই জাতির মেরুদন্ড, যে জাতির মধ্যে এখানেই সেই জাতি কখনোই উন্নতির স্বর্ণ শিখরে পৌঁছাতে পারেনা।” শিক্ষা দিয়েই একটি জাতি সামনের দিকে এগিয়ে যেতে পারে। অথচ দারিদ্রতার কষাঘাতে পড়ে প্রকৃত শিক্ষা থেকে দূরে সরে যেতে বসেছে দরিদ্র মেধাবী শিক্ষার্থী রাফেজা।
দু’ শতাংশ জমির উপর বসতভিটা, পাটকাঠির বেড়া দেওয়া একটি ছাপড়া ঘর, ৬ সদস্যের পরিবারের গাদাগাদি করে থাকা, সহায় সম্বল বলতে এতটুকু, বলছিলাম রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার তেনাপচা গ্রামের প্রান্তিক কৃষক মোঃ আলেক শেখের কথা।
দিনা আনা, দিন খাওয়া এমন খেটে খাওয়া পরিবারের পক্ষে ছিল না মেয়েকে প্রাইভেট পড়ানোর মতো সামর্থ্য, পড়াশোনার পরিবেশ সৃষ্টি করা, ঘরে ছিল না বসার মত চেয়ার টেবিল। ছুটি নি ভালো-মন্দ খাওয়া দাওয়া, পরিবেশ সম্মত ভালো কোন পোশাক। এমনও শত প্রতিকূলতা পিছনে ফেলে এই বছর বরাট চৌধুরী আব্দুল হামিদ একাডেমি থেকে বিজ্ঞান বিভাগ হতে গোল্ডেন এ প্লাস পেয়েছেন দরিদ্র আলেক শেখের অদম্য মেধাবী মেয়ে মোছাঃ রাফেজা খাতুন।
নিজের সীমাহীন পরিশ্রম, কাজের মাঝেও পড়াশোনা, আর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষকদের সার্বিক সহযোগিতায় এমন একটি ভালো ফলাফল করতে পেরেছেন তিনি।
মেয়ে রাফেজার এমন ভালো ফলাফলে পরিবারের সদস্যদের মাঝে খুশির পাশাপাশি নেমে এসেছে দুশ্চিন্তা। কেননা দরিদ্র কৃষক বাবা আলেক শেখের সামর্থ্য নেই মেয়েকে পড়াশোনা করিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া।
তার ভবিষ্যৎ আশা পড়াশোনা করে আরো সামনের দিকে এগিয়ে যাবেন। অথচ বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে দারিদ্রতা। এক্ষেত্রে সরকার কথা আশপাশের দানবীর মানুষ যদি একটু এগিয়ে আসেন তাহলে দরিদ্র মেধাবী ছাত্রী রাফেজা লেখাপড়া করে সমাজের একটি স্থানে যেতে পারেন। একটু সুযোগ পেলে রাফেজা ভালো কিছু করে দেখাবেন এই সমাজকে।