শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেছেন, ‘আমি আমার বোনের সঙ্গে গার্লস স্কুলে পড়েছি। ওই সময় সেখানে সে নিয়মই ছিল। আর এখানে লজ্জা পাওয়ার কিছু নেই, আমার স্কুলের নাম ছিল বাংলাদেশ মহিলা সমিতি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়।’
তিনি বলেন, ‘যাদের মানসিকতার সমস্যা রয়েছে এবং যারা নারীদের এগিয়ে যাওয়ার বিষয়টি ভালো চোখে দেখেন না; বিষয়টি নিয়ে তারাই লজ্জাবোধ করেন।’
গতকাল বৃহস্পতিবার নারায়ণগঞ্জ মর্গ্যান গার্লস হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবীনবরণ ও এসএসসি পরীক্ষার্থীদের বিদায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী।
ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেন, ‘আগের সেই পিছিয়ে থাকার অবস্থানে নেই বাংলাদেশের নারীরা। কোনো কোনো ক্ষেত্রে তারা পুরুষদের চাইতে বেশি সফল। আজ নারীরা নিজেরাই প্রতিষ্ঠিত হচ্ছেন। দেশ ও জাতির জন্য গর্ব বয়ে আনছেন।’
নারীরাই আগামী দিনের ভবিষ্যৎ জানিয়ে নওফেল বলেন, আমাদের প্রধানমন্ত্রী, শিক্ষামন্ত্রী এবং স্পিকার একজন নারী। তারাই এ দেশের অগ্রগামী নারীদের আইকন।’
তাই যে যাই বলুক এই তিন নারীকে দৃষ্টান্ত হিসেবে সামনে রেখে সবসময় মনোযোগ দিয়ে লেখাপড়া করতে হবে বলে ছাত্রীদের উপদেশ দেন ব্যারিস্টার নওফেল।
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে শিক্ষা উপমন্ত্রী আরো বলেন, ‘বর্তমান সময়ে মেয়েরা যেই হারে উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত হচ্ছে, তারা সেভাবে নিজেদের মেলে ধরতে পারছে না। এর কারণ বিভিন্ন সামাজিক কারণে তারা সাহস হারিয়ে ফেলছে।’
তাই ধর্মে নারীদের কর্মে বাধা দেয়ার কোনো বিধান নেই জানিয়ে তিনি বলেন, ‘নারীদের আরো বেশি কর্মমুখী হওয়া দরকার। যারা নারীদের ঘরে আটকে রাখতে চায় তারা তাদের পিছিয়ে রাখার ষড়যন্ত্র করছে।’
নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের সভাপতি ও স্কুলের গভর্নিং বডির সভাপতি আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য এ কে এম সেলিম ওসমান, অতিরিক্ত জেলা পুলিশ সুপার মেহেদী হাসান, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাহিদা বারিক, মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জি এম আরাফাত, অধ্যক্ষ অশোক কুমার সাহা প্রমুখ।