শনিবার, ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২১শে মহর্‌রম, ১৪৪৬ হিজরি
শনিবার, ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২১শে মহর্‌রম, ১৪৪৬ হিজরি

আদিতমারী উপজেলায় তীব্র শীতে বাড়ছে ঠান্ডা জনিত রোগ

লালমনিরহাট প্রতিনিধিঃলালমনিরহাটের আদিতমারীতে তীব্র শীতে বাড়ছে ঠান্ডা জনিত রোগ। লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলায় পৌষের শেষে শীতের তীব্রতার সঙ্গে বেড়েই চলছে ডায়রিয়া ও শ্বাসকষ্ট। ঘন কুয়াশা ও তীব্র ঠান্ডায় বেশির ভাগই আক্রান্ত হচ্ছে শিশু ও বয়স্করা। ৫০শয্যার হাসপাতালে গত ১৩ দিনে প্রায় শতাধিক ডায়রিয়া ও শ্বাসকষ্ট রোগী ভর্তি হয়েছে। উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা বহি বিভাগের চিকিৎসা নিয়ে আরো প্রায় তিন শতাধিক। এছাড়াও অনেকে বিভিন্ন ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্র বেসরকারি হাসপাতাল চিকিৎসকের কাছে চিকিৎসা নিচ্ছে। চিকিৎসকদের পরামর্শ পত্র ছাড়াও ঔষধ এর দোকানগুলোতে ভীর লক্ষ্য করা যাচ্ছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ডায়রিয়া রোগের চাপ সামলাতেও হিমশিম খাচ্ছেন। ডায়রিয়া ও শিশু ওয়ার্ড না থাকায় রোগীদের মেজেও বারান্দায় বিছানা পেতে থাকতে হচ্ছে। হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে গত পহেলা জানুয়ারি থেকে ১৩ই জানুয়ারি পর্যন্ত ডায়রিয়া রোগী ভর্তি হয়েছে শতাধিক। এসব রোগীর মধ্যে শিশুর সংখ্যায় বেশি। অনেকে আবার সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে যাচ্ছে।অনেকেই আবার নতুন করে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে। প্রতিদিন হাসপাতাল ছাড়ছে ১০থেকে ১৫ জন প্রতিদিন হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে ১৫ থেকে ২০জন। বিভিন্ন উপজেলা থেকেও রোগীরা এই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ এসে ভর্তি হচ্ছে। এদের মধ্যে তীব্র ডায়রিয়া ও শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত জাকারিয়া ইসলাম গ্রাম বাসিনটারী আদিতমারী।শিশু জাকারিয়ার মা জান্নাতী বেগম বলেন শীতের কারণে আমার ছেলের এই অবস্থা। সবচেয়ে বেশি আশঙ্কা জনক অবস্থায় রয়েছেন শাহিনুর আলমের তিন সন্তান সিনহা রাইয়ান নাইমা। তিন সন্তানের জনক শাহিনুর ইসলাম বলেন গত দুইদিন থেকে বাচ্চাদের অসুস্থতার কারণে হাসপাতালে। আদিতমারী হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স ফারহানা সরকার বলেন ঠান্ডা জনিত কারণে ডায়রিয়া ও বমি রোগের সংখ্যা বেশি। হাসপাতালে দায়িত্বে থাকা ডাক্তার বিক্রমচন্দ্র রায়ের সঙ্গে কথা বলা হলে তিনি বলেন গতবছরের তুলনায় এবছর ঠান্ডা বেশি হওয়ায় ঠান্ডা জনিত কারণে শিশু বাচ্চাদের ডায়রিয়া বমি ও পাতলা পায়খানা বেশি হচ্ছে আমরা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ যথাসাধ্য চেষ্টা করছি চিকিৎসা প্রদান ও পরামর্শ প্রদানের। ডাক্তার বিক্রমচন্দ্র রায় বলেন রোগীরা যেভাবেই হাসপাতালে থাকুক না কেন তাদের চিকিৎসার কোন ত্রুটি হচ্ছে না।

সম্পর্কিত

মাত্রই প্রকাশিত