সোমবার, ১৭ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৩রা চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ই রমজান, ১৪৪৬ হিজরি
সোমবার, ১৭ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৩রা চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ই রমজান, ১৪৪৬ হিজরি

আজ লালমনিরহাট মুক্ত দিবস

আব্দুল লতিফ সরকার:আজ ৬ ডিসেম্বর, রংপুরে বিভাগের অন্যতম একটি জেলা লালমনিরহাট মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মরণপণ লড়াই আর মুক্তিকামী জনগণের দুর্বার প্রতিরোধে পাক হানাদার বাহিনী পিছু হটে জেলা শহর থেকে।

চূড়ান্ত বিজয়ের পূর্ব মুহূর্তে ৫ ডিসেম্বর মধ‌্য রাতে বীর মুক্তিযোদ্ধারা লালমনিরহাট জেলা ঘিরে ফেলে। এবং ৬ ডিসেম্বর ভোর ৬টায় লালমনিরহাট রেলওয়ে স্টেশন থেকে পাক সেনা, রাজাকার আলবদর ও তাদের দোসররা দুটি স্পেশাল ট্রেনে করে রংপুর ক্যান্টনমেন্টে পালিয়ে যায়।

তিস্তা নদী পার হওয়ার পরে পাক সেনারা তিস্তা রেল সেতুতে বোমা বর্ষণ করে। এতে সেতুর মারাত্মক ক্ষতি হয়। লালমনিরহাটে ‘৭১-এর এদিনে সর্বত্রই ছড়িয়ে পড়ে মুক্তির উল্লাস। লালমনিরহাট শত্রুমুক্ত হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে চারদিক থেকে লোকজন ছুটে আসতে থাকে শহরের দিকে।

সন্ধ্যার মধ্যে শহরে (বর্তমান মিশন মোড়) এলাকায় লোকে পূর্ণ হয়ে যায়। স্লোগানে মুখরিত হয়ে উঠে শহর ও আশপাশের গ্রাম। আনন্দে উদ্বেলিত কণ্ঠে স্বদেশের পতাকা নিয়ে ছুটোছুটি করতে থাকে তরুণ, যুবক, আবাল বৃদ্ধ বনিতা সবাই। শহরের বিভিন্ন রাস্তায় বের হয় আনন্দ মিছিল।

মুক্তিযুদ্ধের সময় ৬নং সেক্টরের কমান্ডার ছিলেন বিমান বাহিনীর এম খাদেমুল বাশার। ৬ ডিসেম্বর মিত্র বাহিনীর সঙ্গে সর্বস্তরের মানুষ শহরে প্রবেশ করলে স্বাধীন বাংলার পতাকা ওড়ান তিনি।

লালমনিরহাটের একমাত্র বীর প্রতীক প্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা ক্যাপ্টেন (অব.) আজিজুল হকের সাথে কথা হলে অশ্রুসিক্ত নয়নে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণ করেন।

অবিস্মরণীয় দিনটি যথাযথভাবে উদ্‌যাপনের জন্য লালমনিরহাটের বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, মুক্তিযোদ্ধা সংগঠন নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে।

সম্পর্কিত