স্টাফ রিপোর্টারঃ জিয়াউর রহমানঃবলছিলাম কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলাধীন বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের জুনায়েদ নামের এক অসহায় নিষ্পাপ শিশুর কথা। যার বর্তমান বয়স ৪ বছর। তথ্যসূত্রে জানা যায়, ৪ মাস বয়সে তার ডান চোখে হালকা চোট পেয়েই এ রোগের সূত্রপাত হয়। অর্থাৎ ডান চোখের সাদা অংশের ( স্ক্লেরা) নিচের দিক থেকে ছোট্ট ভ্রুণ বা টিউমার টাইপের কিছু একটা দৃষ্টিফলন হয় এনং বিগত প্রায় ৩ (তিন) বছরে ভ্রুণটির আকার একই রকম থাকায়, কোন প্রকার চিকিৎসকের শরণাপন্ন হয় নাই।
শিশুটির খালা জানায়,
বিগত এক বছর থেকে ভ্রুণটির আকার বৃদ্ধি লক্ষ্য করেন এবং গত চার মাসে প্রায় বর্তমানের দুই তৃতীয়াংশ বৃদ্ধি পায় । বাবা অন্য কোন মেয়েকে বিয়ে করে এলাকা ছেড়ে চলে যায় এবং স্ত্রী সন্তানের কোন প্রকার খোজ খবর না নেওয়ায় , মা- পেটের দায়ে অগত্যা গার্মেন্টসে চাকরি নেয় এবং কর্মস্থলেই থাকেন। তাই শিশুটির দেখাশোনা করার মত তার খালা ছাড়া আর কেউ নাই।
চিকিৎসার ব্যাপারে জিজ্ঞাসায় প্রতিত্তোরে বলেন,
যখন বাচ্চার বয়স দুই বছর তখন ঢাকায় ”জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনষ্টিটিউড ও হাসপাতাল” এ নিয়ে যাই এবং ডাক্তারের বিভিন্ন ধরনের পরিক্ষা শেষে পরামর্শ ছিল, এত কম বয়সে বাচ্চাটির অপারেশন করানো যাবে না। বয়স বেশি হলে অপারেশন করা যাবে এবং চোখের রোগ ভালো হবে। কিন্তু টাকা খরচ হবে লক্ষাধিক। কথাটা ডাক্তার বাবু নাকি মোটা দাগেই বলেছে।
শিশুর বয়স বাড়বে, অপারেশন হবে ,চোখ ভালো হবে এমন অপেক্ষাই ছিল তার খালার সান্ত্বনা। কেননা সে নিজেও জানতো যে, এত টাকা খরচ করে চিকিৎসা করার সামর্থ্য তার নাই। তিনি আরো জানায়, এই নিষ্পাপ শিশুটি যখন চোখের ব্যাথায় কান্না করে, আমার বুকটা কষ্টে ফেটে যায়, কাউকেই বোঝাতে পারি না, আমার কতটা কষ্ট লাগে। একবার মনে হয়, গলা টিপে হত্যা করে বাচ্চাটিকে মুক্তি করে দেই। আবার ভাবি, আল্লাহর দেওয়া এত্তো বড় দুনিয়ায় কি কারো কাছে ঠাই পাবে না, কেউ কি নেই? যে জুনায়েদের চিকিৎসা করাবে? শুনছি এম.পি/ মন্ত্রীদের নাকি অনেক টাকা, সরকারের ফান্ড থেকে তারা নাকি এমন হতভাগা মানুষকে সাহায্য করেন, তাদের কি চোখে পড়ে না? কি পাপ করেছে শিশুটি যে, এমন সাজা ভোগ করবে? আপনার হাত জোর করে বলছি, আমার জুনায়েদের জন্য কিছু একটা করেন, আমি আর সহ্য করতে পারছি না।
এমন অনেক আবেগ প্রবল অনেক কথা আমাকে বলছিল কেঁদে কেঁদে।
আমিও বলে দিছি, আমি কিছুই করতে পারি না, সব কিছুর মালিক একজনই, যিনি রোগের সৃষ্টি করেন আবার রোগের মুক্তিও দেন। যিনি চাইলে প্রিয় পাঠকবৃন্দ আপনাদের তথা আমাকেও এমন রোগ দিতে পারতো। কিন্তু তিনি তো মহান, তিনি যাহা জানেন , আমরা তা জানি না। রোগী যেমন রোগ বহন করার পরিক্ষা দিচ্ছে তেমনি আমরা রোগমুক্ত ভালো যারা আছি, রোগীর সেবাসামগ্রী দেওয়া না দেওয়ার পরিক্ষা দিচ্ছি। তাই সৃষ্টিকর্তা এমন পরিক্ষায় উত্তির্ন হওয়া উভয়ের জন্যই জরুরী করেছেন। আমরা আল্লাহর দেওয়া পরিক্ষায় উত্তির্ন হবো তো ইনশাআল্লাহ?
রোগীর সাহায্যের জন্য যোগাযোগ ঃ
01318961009
01757336744 (WhatsApp)