মার্চ ৩১, ২০২৩ ১১:৪৬ সকাল



অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের অভিযোগ কাজিপুর ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে

সিরাজগঞ্জ  প্রতিনিধি,

সিরাজগঞ্জের কাজিপুর সদর ইউনিয়নের খুদবাবান্দী এলাকার যমুনা নদী ও ফসলি জমি পরিবেশ ধ্বংস করে কাজিপুর ইউনিয়নের শামীম হোসেন মেম্বার গং এর বিরুদ্ধে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের অভিযোগ উঠেছে। প্রতি বছর শীত মৌসুমে যমুনা নদী ও বন্যা নিয়ন্ত্রণবাঁধের অভ্যন্তরে ঢুকে বালু উত্তোলনের ব্যবসা করে যাচ্ছে এই সিন্ডিকেট, কয়েক মাস ধরে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে ব্যবসা করলেও কর্তৃপক্ষ কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না বলে অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয়রা। এলাকাবাসীর অভিযোগ, কাজিপুর সদর ইউপি সদস্য শামীম হোসেন সিন্ডিকেট খুদবান্দী এলাকায় প্রবেশ করে অবৈধ বালুর ব্যবসা করে আসছে। স্থানীয়দের অভিযোগের ভিত্তিতে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, খুদবান্দী নৌ-ঘাট ও খুদবান্দী বাজারের অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে সিরাজগঞ্জ, রায়গঞ্জ, কাজিপুর, শেরপুরে পাচার করছে এই ইউপি এবং বালুর চরের মালিকানা দাবীদার স্থানীয় জাহাঙ্গির, শামীম হোসেন নামে চক্রটি। স্থানীয় আব্দুস সাত্তার ও মোঃ জসিম সরকার অভিযোগ করে বলেন, কাজিপুর ইউপি সদস্য হলেও সে সন্ত্রাসী কায়দায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে। এই বালু উত্তোলন অব্যাহত থাকলে খুদবান্দী-আলমপুর, খুদবান্দী-শুভগাছা, মেঘাই-খুদবান্দী সড়ক ও কয়েকটি সেতু ভবিষ্যতে ধ্বসে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে কাজিপুর ইউপি সদস্য শামীম হোসেন বলেন, আমরা অবৈধভাবে বালু তুলছি না, প্রশাসনের সবাইকে ম্যানেজ করে বালু উত্তোলন করছি। এলাকাটি আরো অনেকে বালু উত্তোলন করছেন। এব্যাপারে ইউএনও জাহিদ হাসান সিদ্দিকী বলেন, তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ২০১০ সালের বালুমহাল আইনে বলা আছে বিপণনের উদ্দেশ্যে কোনো উন্মুক্ত স্থান, নদ-নদীর তলদেশ থেকে বালু বা মাটি উত্তোলন করা যাবে না। এ ছাড়া সেতু, কালভার্ট, বাঁধ, সড়ক-মহাসড়ক অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সরকারি-বেসরকারি স্থাপনা অথবা আবাসিক এলাকা থেকে বালু ও মাটি উত্তোলন নিষিদ্ধ।



Comments are closed.

      আরও নিউজ