আব্দুর রাজ্জাক শাওন’স্টাফ রির্পোটারঃবাংলাদেশের সিলেট জেলায় প্রতি বছর শীতকালে অতিথি পাখির আগমন ঘটে। তবে অন্য বছরের তুলনায় এই বছর অতিথি পাখি অনেক কম এসেছে। অন্য বছর গুলোতে যে হারে পাখি শীতকালে আসতো এবার তার অর্ধেক পাখি এসেছে বাংলাদেশে। বিভিন্ন ধরণের পাখি সিলেট জেলায় শীতকালে আসে ও গীষ্মকালে চলে যায়। ইউরোপ ও আমেরিকা মহাদেশের তাপমাত্রা শূন্য (০) ডিগ্রী নিছে থাকার জন্য পাখিরা সেখানের তাপমাত্রা সহ্য করতে পারে না,তখন পাখিরা খুঁজতে থাকে কোন দেশে আবহাওয়া বর্তমানে বসবাসের উপযোগী আছে। সেই সব দেশে পাখিরা চলে যায়।
প্রতি বছরের ন্যায় এ বছর নানা রঙের অতিথি পাখিরা এসেছে। বেশিরভাগ পাখি দেখতে হাঁসের মত। কোনোটি বক পাখির চাইতে ছোট,বড় ও মাঝারী আকৃতি। গায়ের রং কোনোটির সাদা, কালো, নীল ও আসমানি। নানান জাতের পাখি দেখতে খুব বেশি ভালোলাগে। তাদের কিচিমিচি আওয়াজে বাংলাদেশের গ্রামীণ সৌন্দর্য বেশি বৃদ্ধি পায়।জমিতে ক্ষতিকারক পোকামাকড় অতিথি পাখিরা খায় ফলে উৎপাদন বেশি হয়।
পাখিরা মূলত গ্রামে আসে, গ্রামের উঁচু গাছপালা উপরে নীড় তৈরি করে থাকে। গ্রামের হাওর,বিল,ঝিল যা আছে সেখান থেকে পাখিরা তাদের খাদ্য সংগ্রহ করে থাকে। পাখিরা খায় ছোট মাছ,শামুক, পোকামাকড়। পাখিরা ছোট গাছে নীড় তৈরি করে না ভয়ে। মানুষ তাদের নাগাল যাহাতে না পায় তাই তারা উঁচু গাছের উপরে নীড় তৈরি করে।
বাংলাদেশ সরকার আইন করেছে যে কোনো ব্যক্তি কোনো অতিথি পাখিকে শিকার করলে তাকে শাস্তি দেওয়া হবে।